ঝাড়গ্রাম নিউজ ফ্ল্যাশ ডেস্ক :ঝাড়গ্রাম থেকে কেউ পায়ে হেঁটে বাড়ি ফিরবে না, কড়া নির্দেশ মানবিক জেলাশাসক আয়েশা রানি এ-র। কঠিন এই পরিস্থিতিতে মানবিক নির্দেশের পরই তৎপর হয়েছে জেলা প্রশাসন ও পুলিশ। ভিন রাজ্য বা জেলা থেকে অনেকেই পায়ে হেঁটে বাড়ি ফিরছিলেন।
কিন্তু ওই সব পরিযায়ী শ্রমিকদের দেখা মাত্র খাবার ও গাড়ির ব্যবস্থা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে জেলা জুড়ে। অর্থাৎ মূলকথা, ঝাড়গ্রাম জেলায় কোনও পরিযায়ী শ্রমিক হেঁটে বা সাইকেলে বাড়ি ফিরবেন না। চিচিড়া চেকপোস্ট বা হাতিবাড়ি চেকপোস্টে এমনিতেই পুলিশ-প্রশাসনের যৌথ উদ্যোগে প্রতিদিনই চলছে পরিযায়ী শ্রমিকদের খাবার দেওয়ার পাশাপাশি গাড়িতে করে সরকারি বাসে করে বাড়ি পাঠানোর কাজ। তা সত্ত্বেও অনেকে পায়ে হেঁটে অথবা সাইকেলে করে ঢুকে পড়ছিলেন জেলার বিভিন্ন প্রান্তে।
রবিবার বিকেলে লোধাশুলিতে এমনই ৭ জন সাইকেল আরোহী ও ভিন রাজ্য থেকে আসা ২৯ জনকে শ্রমিককে আটকে খাবার তাঁদের হাতে তুলে দিয়ে গাড়ি করে পাঠানো হয়। লোধাশুলিতে স্বয়ং উপস্থিত ছিলেন ঝাড়গ্রামের জেলাশাসক আয়েশা রানি এ, মহকুমা শাসক সুবর্ণ রায়, এসডিপিও অনিন্দ্যসুন্দর ভট্টাচার্য ও ঝাড়গ্রাম থানার আইসি পলাশ চট্টোপাধ্যায়। সাইকেল আরোহী ৭ জনকে খাবার ও জল দিয়ে গাড়িতে তোলার ব্যবস্থা করেন। বাকি ২৯ জনকে লোধাশুলি পথের সাথীতে শুকনো খাবার, চা ও জল দেওয়া হয়। তাদের নোংরা জামাকাপড় ছাড়িয়ে ত্রাণ দপ্তরের সহযোগিতায় মহকুমা শাসক নতুন জামা-কাপড় তুলে দেন। খাবার ও নতুন জামাকাপড় পেয়ে খুশি হয়ে গাড়িতে চেপে রওনা দেন পশ্চিম মেদিনীপুর, মালদা ও পুরুলিয়া জেলার বিভিন্ন প্রান্তে। মহকুমা শাসক সুবর্ণ রায় বলেন,’জেলাশাসকের নির্দেশে এই কাজ শুরু হয়েছে। কেউ ঝাড়গ্রাম জেলা হয়ে পায়ে হেঁটে বাড়ি ফিরবেন না। জেলাশাসক নিজে এই ব্যবস্থার তদারকি করছেন।’