ঝাড়গ্রাম নিউজ ফ্ল্যাশ ডেস্কঃ মাধ্যমিক পরীক্ষার শেষ দিনে পরীক্ষা দিয়ে বাইক চালিয়ে বাড়ি ফেরার পথে ইটবোঝাই লরির চাকায় পিষ্ট মৃত্যু হল এক মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর। নাবালক বাইক চালকের মৃত্যুর উঠছে একাধিক প্রশ্ন? বুধবার বিকালে জামবনী থানার লালবাঁধ গ্রাম পঞ্চায়েতের রাঙামাটিয়া গ্রামের রাস্তায় ঘটনাটি ঘটেছে। মৃত ছাত্রের নাম, বিবেকানন্দ মাহাত (১৬)। বিবেকানন্দর বাড়ি জামবনী থানার চাঁদুয়া গ্রামে। সে বারুনশোল বেনারসিলাল হাইস্কুলের ছাত্র। তার পরীক্ষার আসন পড়েছিল গিধনি এলোকেশি হাইস্কুলে। এদিন জীবন বিজ্ঞান পরীক্ষা শেষে বাইক চালিয়ে একা বাড়ি ফিরছিল বিবেকানন্দ। কিন্তু তার মাথায় হেলমেট ছিল না। ওই সময় একটি ইটবোঝাই লরি আমতলিয়ার দিক থেকে আসছিল।
রাঙামাটির এলাকায় লরি ও বাইকের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। বিবেকনন্দ বাইক নিয়ে লরির চাকায় পিষ্ট হয়ে যায়। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তার। পুলিস জানিয়েছে, ১৬ বছর বয়সী ওই পরীক্ষার্থীর লাইসেন্স নেই ও হেলমেট ছিল না। শুধু বিবেকানন্দ নয়, জেলাজুড়ে দেখা গিয়েছে বাইক চালিয়ে নাবালক মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীরা পরীক্ষা দিতে এসেছে। কোন বাইকে আবার দুজন থেকে তিনজন চেপেছিল।এমনকি বাইকের স্পীড ছিল চোখে পড়ার মতো। পরীক্ষা শেষে বাইকের স্পীডের মাত্রা ছিল বেশি। কারোর মাথায় হেলমেট ছিল না। নাবালক পরীক্ষার্থীরা কেন বাইক চালিয়ে আসবে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন শিক্ষক মহল। এক শিক্ষক জানান, পরীক্ষার সময় ছাত্র-ছাত্রীদের মাথায় চিন্তা থাকে। এইসময় নাবালক পড়ুয়াদের হাতে কেন বাইক তুলে দিচ্ছেন। এক্ষেত্রে পুলিস-প্রশাসনের পদক্ষেপ নেওয়া উচিত। আবার পরীক্ষা শেষে অধিকাংশ বাসের মাথায় প্রায় ২০ -৩০ জন পড়ুয়ারা নকল করা কাগজ ছিঁড়ে ফেলতে ফেলতে বাড়ি গিয়েছে। মার্চ মাসেই উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা। এই ঘটনার পর পুলিস-প্রশাসনের পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন বলে মনে করছেন শিক্ষক মহল।