ঝাড়গ্রাম নিউজ ফ্ল্যাশ ডেস্ক : লালগড় থানার মালখানা ঘর থেকে ‘উধাও’ ১৮টি বন্দুক! গ্রেফতার সাব-ইনসপেক্টর সহ মোট চারজন। এহেন কাণ্ড সামনে আসতেই রীতিমত শোরগোল পড়েছে জেলার পুলিশ মহলে। ঘটনার কথা লালগড় থানার অফিসাররা জানতে পারেন গত ১৬ জানুয়ারি। সাব-ইনসপেক্টর বিশ্বজিৎ পাঁজা মালখানা ঘরের দায়ীত্ব নিতে গিয়ে দেখেন, মালখানা ঘরের ১৮টি বন্দুক নেই। লালগড় থানায় আগে মালখানার দায়িত্বে ছিলেন সাব-ইনসপেক্টর তারাপদ টুডু। তারাপদ এই মুহূর্তে জামবনি থানায় কর্মরত ছিলেন। গত ২১ তারিখ মঙ্গলবার লালগড় থানায় এনিয়ে মামলা রুজু হওয়ার পরই তদন্তে নেমে পুলিশ সাব-ইনসপেক্টর তারাপদ টুডু, লালগড় থানার এনভিএফ কর্মী লক্ষীরাম রাণা এবং বিনপুর থানার অন্তর্গত সুধাংশু সেনাপতি ও দিলীপ সেনাপতিকে গ্রেফতার করে। তারাপদের বাড়ি পুরুলিয়া জেলার পাথরটিকরি গ্রামে আর এনভিএফ লক্ষীর বাড়ি পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার কোতয়ালিতে। পুলিশ ধৃতদের বিরুদ্ধে ৪০৯ (সরকারি অফিসারের বিরুদ্ধে সরকারি সম্পত্তি তছরূপের অভিযোগ) এবং ১২০বি (ষড়যন্ত্র) নম্বর ধারায় মামলা রুজু করে। বুধবার ধৃত চারজনকেই ঝাড়গ্রাম আদালতে তোলা হলে বিচারক পাঁচ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন।