ঝাড়গ্রাম নিউজ ফ্ল্যাশ ডেস্ক : এ যেন জেগে ঘুমানোর অবস্থা! জেনেও না জানার ভান ঝাড়গ্রাম পুরসভার। আর তার জেরেই সরকারি জমি হয়ে যাচ্ছে দখল। শুধু দখল নয় বেআইনি নির্মাণও করা হচ্ছে। এমনই চিত্র দেখা গেল পুরাতন ঝাড়গ্রামের ওয়েস্ট এন্ড হাইস্কুলের বিপরীতে সরকারি জমি অর্থাৎ নয়ানজুলিতে। সেখানে সারা বছর জল না থাকলেও বর্ষায় প্রচুর পরিমানে জল যায় ওই নয়ানজুলি দিয়ে। সরাকরি নিয়মানুসারে, ঝাড়গ্রাম পুরসভার অন্তর্গত কোন জমিতে কোন নির্মাণের কাজ করতে গেলে পুরসভার অনুমতি নিতে হয়। সেই নিয়মকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে কিভাবে হচ্ছে নির্মানের কাজ প্রশ্ন তুলছেন শহরের বাসিন্দারা। গত কয়েক দিন আগে ঝাড়গ্রাম শহরের এক বাসিন্দা ওই নয়ানজুলির পাশের একটি রায়ত জমি জোর করে রাতারাতি দখল করা নিয়ে লিখিত অভিযোগ করেন ঝাড়গ্রাম পুরসভায়। তারপর পুরসভার কর্মী এসে সেই জমির কাজ বন্ধ করতে বলে দিয়ে যান। কিন্তু দু’দিন কাজ বন্ধ থাকার পর ফের কাজ শুরু হয়েছে সেই রায়ত জমির উপর। আর তার পাশেই সরকারি জমিও দখল হয়ে যাচ্ছে দিনের বেলায় ! কিন্তু পুরসভার যে কর্মী পরিদর্শন করলেন তিনি কেন নির্মাণের অনুমতি রয়েছে কিনা তার কাজ দেখতে চাইলেন না ? কেই বা সেই জমিতে কাজ করছেন তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হল না ? তাহলে কি পুরসভার একাংশ অফিসাররা এই দুর্নীতিতে মদত দিচ্ছেন প্রশ্ন তুলেছেন বাসিন্দারা। সরকারি জমি কিভাবে দিনের বেলায় দখল হয়ে যায় প্রশাসনের নাকের ডগায় ? তাই পুরসভার ভূমিকা নিয়েও সাধারণ মানুষের মনে নানা প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। কবে ঘুম ভাঙবে ঝাড়গ্রাম পুরসভার ? সে দিকে তাকিয়েই শহরের বাসিন্দারা।