ঝাড়গ্রাম নিউজ ফ্ল্যাশ ডেস্ক :
এ যেন এক অন্য বড়দিন! দুঃস্থ শিশুদের পাশে দাঁড়াল দুঃস্থ পড়ুয়ারা। আর এহেন ভাবনাকে কুর্নিশ জানালেন ঝাড়গ্রামের জেলাশাসক আয়েশা রানি এ। নিজেদের জমানো টাকা দিয়েই বুধবার সকালে শবর পল্লীর ১০০ জন শিশুর হাতে কেক ও চকলেট তুলে দিল দুঃস্থ পড়ুয়ারা। এহেন ব্যতিক্রমী ঘটনার সাক্ষী থাকল ঝাড়গ্রাম শহরের কদমকানন এলাকার শবর পল্লী।
ঝাড়গ্রাম ব্লকের বিকাশ ভারতীতে রয়েছে সমাজ কল্যাণ দপ্তরের আর্থিক সাহায্যপ্রাপ্ত একটি আবাসিক শিশু বিকাশ কেন্দ্র। বর্তমানে কেন্দ্রে ৬ থেকে ১৮ বছর পর্যন্ত মোট ৬২ জন পড়ুয়া রয়েছে। তাদের মধ্যে কেউ অনাথ, কারো মা আছে বাবা নেই। আবার একেবারে দুঃস্থ। গত একবছরে আবাসিক পড়ুয়ারা মিলে মোট ২৫০ টাকা জমিয়ে ছিল।
সেই টাকা তাদের মত দুঃস্থ বাচ্চাদের মধ্যে কিছু কিনে দেওয়ার কথা শিশু বিকাশ কেন্দ্রের হাউস ফাদার দীপক বন্দ্যোপাধ্যায়কে জানিয়ে ছিল পড়ুয়ারা। সেই মত শবর পল্লীর শিশুদের হাতে কেক ও চকলেট তুলে দিয়ে এবং তাদের সঙ্গে বড়দিনের আনন্দ ভাগ করে নিতে পেরে খুশি আবাসিক পড়ুয়া মানব মাহাতো, বলরাম সিং লায়া, ধরম সোরেন, নারান মাহাতোরা। মানব, ধরম, নারানরা বলে,‘বড়দিনে আমরা ওদের সঙ্গে কেক কেটে খেয়েছি। চকলেট দিয়েছি। খুব ভালো লেগেছে আমাদের।’
হাউস ফাদার দীপক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন,‘পড়ুয়াদের ভাবনাটা আমাদের খুব ভালো লেগেছিল। তাই ওদের সঞ্চিত ২৫০ টাকার সঙ্গে আমরাও কিছু টাকা মিশিয়ে এদিন ১০০ জন শিশুর হাতে কেক ও চকলেট তুলে দিতে পেরেছি।’ ঝাড়গ্রামের জেলাশাসক আয়েশা রানি এ বলেন,‘ছোট বাচ্চাদের এই ভাবনা সত্যিই প্রশংসনীয়! পড়াশুনা শুধু নয়, সমাজের দায়বদ্ধতা থেকে মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য যেভাবে বড়দিন পালন করেছে, তাতে জেলাশাসক হিসেবে আমি নিজে গর্বিত। কারণ আমার জেলায় এরকম পড়ুয়ারা রয়েছে। ওদের ভবিষ্যত জীবনের মঙ্গল কামনা করি।’