ঝাড়গ্রাম নিউজ ফ্ল্যাশ ডেস্ক : বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় গোপীবল্লভপুরে ১৮ জোড়া পাত্র-পাত্রীর গণবিবাহ সম্পন্ন হল। ত্রিবেণী যুব জনকল্যাণ সংস্থার উদ্যোগে গণবিবাহের আয়োজন করা হয়। গণবিবাহ অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন শ্রীপাট গোপীবল্লভপুরের মহন্ত শ্রী কৃষ্ণকেশবানন্দ দেবগোস্বামী।
উপস্থিত ছিলেন বিধায়ক চূড়ামনি মাহাতো, দুলাল মুর্মু, জেলা পরিষদের সভাধিপতি মাধবী বিশ্বাস, ঝাড়গ্রাম জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ উজ্জ্বল দত্ত, শুভ্রা মাহাতো, পশ্চিম মেদিনীপুরের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ নির্মল ঘোষ, গোপীবল্লভপুর পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য সত্যরঞ্জন বারিক, বিশিষ্ট সমাজসেবী শংকর প্রসাদ হাঁসদা, টিঙ্কু পাল প্রমুখ। বিভিন্ন সম্প্রদায়ের নিয়ম মেনেই বিয়ের আয়োজন করেন উদ্যোক্তরা। বাংলা, উড়িষা ও ঝাড়খণ্ড তিন রাজ্য মিলে চলে চলে ত্রিবেণী যুব জনকল্যাণ সংস্থা। ভিন্ন ভিন্ন প্রথানুযায়ী বিয়ের আসর দেখতে ভিড় জমান বিভিন্ন গ্রামের মানুষের পাশাপাশি ভিন রাজ্যের মানুষজন। বিকেল সাড়ে পাঁচটা থেকে শুরু হয়েছে বিয়ের আয়োজন। রাত্রিতে ১০ হাজার মানুষের খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। সংস্থার পক্ষ থেকে গণবিবাহে অংশ নেওয়া দুঃস্থ পাত্র-পাত্রীদের হাতে সাইকেল, টিভি, হাতঘড়ি, নাকছাবি, বাসনপত্র, আলমারি, পালঙ্ক সহ নতুন জামাকাপড় দেওয়া হচ্ছে। ত্রিবেণী যুব জনকল্যাণ সংস্থার তিন রাজ্যের আহ্বায়ক তথা গোপীবল্লভপুরের সম্পাদক সনাতন দাস বলেন,‘এবারে আমাদের গণবিবাহের আয়োজন ১১ বছরে পা দিল। আজকে ১৮ জোড়া পাত্র-পাত্রী মিলে মোট ১১২৮ জন দুঃস্থ মানুষের বিয়ে দিতে আমরা পেরেছি। তাঁরা নতুন জীবনে আবদ্ধ হয়ে ভালোভাবে সংসার করছেন। এর ফলে এলাকার কিশোরী পাচারের সংখ্যা যেমন কমেছে তেমনি দরিদ্র মানুষজনও তাঁদের পুত্রকন্যাদের বিয়ে দিতে পারছেন। আর তাতেই আমরা খুশি। রাত্রিতে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে কলকাতা ও উড়িষা থেকে সাংস্কৃতিক দলের পাশাপাশি স্থানীয় আদিবাসী, ছৌ, ঝুমুর গানের ব্যবস্থা করা হয়েছে।’