Breaking
1 Nov 2024, Fri

ঝাড়গ্রাম রিপোর্টাস ক্লাব ও ঝাড়গ্রাম নিউজ ফ্ল্যাশের পরিচালনায় ‘বসে আঁকো প্রতিযোগিতায়’ এসে মুগ্ধ হলেন ঝাড়গ্রাম জেলা প্রশাসনের শীর্ষকর্তারা

ঝাড়গ্রাম নিউজ ফ্ল্যাশ ডেস্ক : ঝাড়গ্রাম রিপোর্টাস ক্লাব ও ঝাড়গ্রাম নিউজ ফ্ল্যাশের পরিচালনায় ‘বসে আঁকো প্রতিযোগিতায়’ এসে মুগ্ধ হলেন ঝাড়গ্রাম জেলা প্রশাসনের শীর্ষকর্তারা। রবিবার ছুটির দিনে নার্সারি থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত পড়ুয়াদের নিয়ে ‘বসে আঁকো প্রতিযোগিতা’র আয়োজন করা হয়েছিল ঝাড়গ্রাম শহরের অফিসার্স ক্লাব ময়দানে।

পাঁচটি বিভাগে মোট ২৪০জন প্রতিযোগী অংশ নিয়েছিলেন। এদিন পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঝাড়গ্রামের জেলাশাসক আয়েশা রানি এ, ঝাড়গ্রাম জেলা পুলিশ সুপার অমিতকুমার ভরত রাঠোর, ঝাড়গ্রামের ডিএফও বাসবরাজ এস হোলেইচ্চি,

ঝাড়গ্রাম জেলার তথ্য ও সংস্কৃতি আধিকারিক সঞ্জয় চক্রবর্তী, ঝাড়গ্রামের এসডিপিও অনিন্দ্যসুন্দর ভট্টাচার্য, ঝাড়গ্রাম থানার আইসি জয়প্রকাশ পাণ্ডে প্রমুখ। অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারী সকল প্রতিযোগীদের হাতে বিশেষ পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়।

পাশাপাশই পাঁচটি বিভাগের প্রত্যেকটি বিভাগের সেরা ৩ জনকে পুরষ্কৃত করা হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত সকল অতিথিই পড়ুয়াদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন। জেলাশাসক আয়েশা রানি এ বলেন,‘বসে আঁকো প্রতিযোগিতা কলকাতা বা বড় বড় শহরে বিভিন্ন সংস্থার উদ্যোগে এধরনের প্রতিযোগিতা প্রায় হয়,বাচ্চারা সুযোগ পেয়ে থাকে। কিন্তু নতুন ঝাড়গ্রাম জেলায় আমাদের বাচ্চারা এধরনের সুযোগ পায় না। এখানে একটি ভালো অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়েছে।

বাচ্চারাই আমাদের ভবিষ্যৎ। নতুন প্রজন্ম নষ্ট হলে দেশের ভবিষ্যৎ নষ্ট হয়ে যায়। রিপোর্টারদের সমাজের প্রতি দায়বদ্ধতা থাকে, সে থেকে আজকের অনুষ্ঠান খুবই প্রশংসনীয়।’ পুলিস সুপার অমিতকুমার ভরত রাঠোর বলেন,‘এই ধরনের অনুষ্ঠান করা হচ্ছে সংবাদমাধ্যমের পক্ষ থেকে খুবই ভালো উদ্যোগ। সংবাদমাধ্যমের একটি খুব গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা থাকে আমাদের সমাজে। ভালো কাজ করে সমাজকে আরো এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। আগামী দিনেও এধরনের উদ্যোগে আমরা আপনাদের পাশে থাকব।’

ঝাড়গ্রামের ডিএফও বাসবরাজ এস হোলেইচ্চি বলেন,‘আজকে খুব ভালো লাগল বাচ্চাদের জন্য সুন্দর একটা বসে আঁকো প্রতিযোগিতা আয়োজন করা হয়েছে। সাংবাদিকরা নিজের কাজের মধ্যেও সামাজিক দায়বদ্ধতার কাজ হিসেবে এত সুন্দর অনুষ্ঠান আয়োজন করেছেন। উনাদেরকে শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। আর আপনাদের সকলকে বলতে চাই আজকে বসে আঁকো প্রতিযোগিতার অনেক বিষয় রয়েছে অরণ্য ও বন্যপ্রাণী কেন্দ্রিক।

আমরা সেই সমস্ত ছবি সংগ্রহ করে দপ্তর এবং বিভিন্ন জায়গায় রাখার ব্যবস্থা করা হবে।’ ঝাড়গ্রাম জেলার তথ্য ও সংস্কৃতি আধিকারিক সঞ্জয় চক্রবর্তী বলেন,‘ঝাড়গ্রাম রিপোর্টাস ক্লাব ও ঝাড়গ্রাম নিউজ ফ্ল্যাশের সাংবাদিক বন্ধুদের বিশেষ ভাবে অভিনন্দন জানাচ্ছি এমন একটা সুন্দর, মর্যাদাপূর্ণ, বার্তাবাহী অনুষ্ঠানে আমাকে আমন্ত্রিত করার জন্য।

সরকারি বা বেসরকারি বিভিন্ন অনুষ্ঠানের প্রচার করে থাকেন সাংবাদিকরা। আজকে তাঁরা দায়িত্ব নিয়েছেন অনুষ্ঠান করবার। বসে আঁকো প্রতিযোগিতা একটা শিল্প। শিল্প এমন একটা মাধ্যম, যার মধ্য দিয়ে আমরা তার শৈল্পিক নৈপূণ্য দেখি। শিল্পের মধ্য দিয়ে সমস্ত পৃথিবীতে একটা মানবিক ও মৈত্রীর মেলবন্ধনে বেঁধে রাখা যায়।’

Developed by