ঝাড়গ্রাম নিউজ ফ্ল্যাশ ডেস্ক : অমানুষিক বললেও ভুল বলা হবে। কার্যত নৃশংস অত্যাচার! যা শুনলেই গা শিউরে উঠবে। সারা শরীরে সিগারেটের ছ্যাঁকা, বেল্টের দাগ কালচে হয়ে গিয়েছে। কামড়ে শরীরে ক্ষত করে দেওয়ার পাশাপাশি যৌনাঙ্গে লাঠি দিয়ে আঘাতও করা হয়েছে। এমনই অকথ্য অত্যাচারের শিকার ২ মাস আগে বিয়ে হওয়া বধূটি। ঝাড়গ্রাম শহরের কদমকানন এলাকার বাসিন্দা পেশায় হিন্দি স্কুলের শিক্ষক দিলীপ সিংহের মেজ মেয়ে প্রিয়া সিংহের দেখাশুনা করে গত অক্টোবর মাসে মুক্তকেশী মন্দিরে বিয়ে হয়েছিল বেসরকারি সংস্থার সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার সুতনু সিংহরায়ের সঙ্গে। নগদ ৩ লাখ টাকা, ১৩ ভরি সোনা ও আসবাবপত্র দান সামগ্রী দিয়েছিল বিয়েতে। তাতেই সাধ মেটেনি শ্বশুরবাড়ির লোকদের! আরো পণের জন্য নৃশংস ভাবে অত্যাচার করেছে বলে জানিয়েছেন প্রিয়ার বাবা দিলীপ সিংহ। দিলীপবাবু বলেন,‘মেয়ে অসুস্থ হয়ে কল্যাণী হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে বলে খবর পেয়েই ১ ডিসেম্বর পৌঁছায়। তারপরই মেয়েকে নাসিং হোমে ভর্তি করে চিকিৎসার জন্য সব খরচ দেব বলি। নাসিং হোমে ভর্তি করে ১ ডিসেম্বর থেকে উধাও হয়ে যায় জামাই। তারপর ২ তারিখ মেয়েকে নিয়ে ঝাড়গ্রাম জেলা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি করি। তারপরেই জানতে পারি মেয়ের উপর অমানুষিক অত্যাচার করেছে বলে।’ ঝাড়গ্রাম থানায় শ্বশুরবাড়ির ৬ জনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেন। ঝাড়গ্রাম জেলার পুলিশ সুপার অমিতকুমার ভরত রাঠোর বলেন,‘ওই ঘটনায় স্বামী ও শ্বশুরকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকিদেরও ধরার চেষ্টা চলছে।’ পুলিশ স্বামী সুতনু সিংহরায় ও শ্বশুর অভিরাম সিংহরায়কে গ্রেফতার করে এদিন ঝাড়গ্রামের সিজেএম আদালতে তোলা হলে বিচারক ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন।