ঝাড়গ্রাম নিউজ ফ্ল্যাশ ডেস্ক : বাড়ির মালিকের স্ত্রীকে অপহরণ করে ধর্ষন করার অভিযোগে গ্রেফতার হলেন ঝাড়গ্রামের প্রাক্তন ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট। অভিযুক্ত ম্যাজিস্ট্রেটের নাম সৌম্য রায়চৌধুরি। তাঁর বাড়ি কলকাতার সল্টলেকে। বর্তমানে তিনি নবান্নে কর্মরত ছিলেন। ২০১৮ সালে ঝাড়গ্রামে ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে কর্মরত ছিলেন। ওই সময় ঝাড়গ্রাম শহরের কদমকানন এলাকায় একটি বাড়ি ভাড়া নেন তিনি। সেই বাড়িতে গৃহবধূ ও শাশুড়ি একাই থাকতেন। বাড়ির মালিক সুকুমার মাইতি কর্মসূত্রে বাইরে থাকেন। আর তাঁর ইঞ্জিনিয়ার ছেলে পড়াশুনার জন্য বাইরে থাকেন। বাড়ির মালিক তথা গৃহবধূর স্বামীর অভিযোগ,’চলতি বছরের ৫ মার্চ ভোরে বাড়ির আলমারি থেকে ১ লক্ষ ২৫ হাজার টাকা, ২২ ভরি সোনা এবং আমার স্ত্রীকে ফুসলিয়ে নিয়ে পালিয়ে যায়। পরের দিন থানায় জানালেও কোন সুরাহা হয়নি। তারপরপুলিস-প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগ জানিয়ে কোন সুরাহা না হওয়ায় আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলাম।’ গত ১৬ এপ্রিল আদালতে অভিযোগ করেন স্বামী সুকুমার মাইতি। আদালতের নির্দেশে মামলা রুজু করে পুলিস। গত ২২ মে পুলিস গ্রেপ্তার করে নিয়ে আসেন সুকুমার মাইতির স্ত্রীকে। আদালতের কাছে গোপন জবানবন্দিতে ওই ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেটের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ আনেন গৃহবধূ। তারপরই আদালতের নির্দেশেই গত ২৫ নভেম্বর ঝাড়গ্রাম থানার পুলিস গ্রেপ্তার করে অভিযুক্ত আধিকারিক সৌম্য রায়চৌধুরিকে। ধৃতের বিরুদ্ধে অপহরণ, ধর্ষণ, চুরি, প্রতারণা, ষড়যন্ত্র সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। গত ২৫ নভেম্বর ঝাড়গ্রামের অভিযুক্তকে সিজেএম আদালতে তোলা হয়। আদালতের নির্দেশে তিন দিনের পুলিসি হেফাজতের পর বৃহস্পতিবার ফের অভিযুক্তকে ঝাড়গ্রামের আদালতে তোলা হয়। সরকারি আইনজীবী অনিল মণ্ডল বলেন,’অভিযুক্তের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ থাকায় জামিন মঞ্জুর না করেই বিচারক ৯ তারিখ পর্যন্ত জেল হেফাজতে পাঠিয়েছেন।’