ঝাড়গ্রাম নিউজ ফ্ল্যাশ ডেক্স :- মুকেশ আম্বানি সংস্থা রিলায়েন্স জিও যখন গোটা দেশজুড়ে মুনাফার পাহাড়ে উচ্ছে, ঠিক তখনই ৩০ হাজার কোটি টাকার লোকসান মাথায় নিয়ে ব্যবসার ময়দান ছাড়লেন রিলায়েন্স কমিউনিকেশনের কর্ণধার অনিল আম্বানি৷ ডিরেক্টরের পদ থেকে দিয়েছেন ইস্তফা৷ শুধু অনিল আম্বানি নিজেই ইস্তফা দিয়ে দায় এড়িয়ে গিয়েছেন তা নয়৷ মুকেশের পাশাপাশি সংস্থার আরও চার ডিরেক্টর ইস্তফা দিয়ে সংস্থাকে লাটে তুলে দেওয়ার প্রথম পদক্ষেপ নিয়ে ফেলেছেন৷
জানা গিয়েছে, রিলায়েন্স কমিউনিকেশন সংস্থা এখন দেউলিয়া৷ ২০১৯ সালের রিলায়েন্স কমিউনিকেশন মাথার ওপর ৩০ হাজার কোটি টাকার ক্ষতি৷ সংস্থার বিপুল ক্ষতি ও কয়েক কোটি টাকার ঋণ নিয়ে দায় এড়ানোর চেষ্টা সংস্থার মালিকের৷
সংস্থা ডুবলেও অনিল অম্বানীর আয় কিন্তু কম নয়৷ জানা গিয়েছে, ২০০৮ সালে বিশ্বের ষষ্ঠ ধনী ব্যবসায়ী ছিলেন লেন অনিল অম্বানি৷ তাঁর মোট সম্পত্তির পরিমাণ ২০০৮ সালে ছিল ৪ হাজার ২০০ কোটি ডলার৷ ভারতীয় মূল্যে ২ লক্ষ ৯৩ হাজার কোটি টাকার কাছাকাছি৷ ২০১৯ সালে জুনের রিপোর্ট বলছে, এখন তাঁর সম্মতি মাত্র ৩ হাজার ৬৫১ কোটি টাকা৷ রয়েছে পরিশোধ না করা ঋণও৷ অনিল অম্বানির সম্পত্তির মোট পরিমাণ ৭৬৫ কোটি টাকা৷গত ফেব্রুয়ারিতে অনিল অম্বানির দ্য রিলায়েন্স গ্রুপের বাজারমূল্য ছিল আট হাজার কোটি টাকার কাছাকাছি৷ অভিযোগ, পাওনাদারদের টাকা না মেটানোয় একের পর এক শেয়ার হাতছাড়া হয় তাঁর৷ ফলে, দেউলিয়া হয়ে গিয়েছে তাঁর দুই সংস্থা৷ রিলায়েন্স কমিউনিকেশনস ও রিলায়েন্স নাভাল ছিল তার অন্যতম৷
কিন্তু, গত বছর এই সংস্থা ১১৪১ কোটি টাকা মুনাফা ঘরে তুলেছিল৷ এক বছরের মধ্যে লাভজনক সংস্থা ৩০ হাজার কোটি টাকা রাতারাতি কীভাবে ক্ষতির মুখোমুখি হল? তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে৷ যদিও, ইতিমধ্যেই সংস্থাকে দেউলিয়া ঘোষণা করা হয়েছে৷ কিন্তু প্রশ্ন উঠছে, ২০১৮ লাভ হওয়ার পর ২০১৯ সালে ৩০ হাজার টাকার লোকসানের দায়ে সংস্থা দেউলিয়া ঘোষণা করা আদৌ কি ন্যায় সঙ্গত? তাহলে গতবছর কী করে ১১৪১ কোটি টাকা মুনাফা কামানো সংস্থা রাতারাতি এমন কী হল, যাতে মুনাফা নেমে গিয়ে ৩০ হাজার টাকার কোটি টাকার ক্ষতির মুখোমুখি হল? ঘটনার পেছনে বড় চক্রান্ত নেই তো? বিজয় মালিয়ার ঘটনা মনে করিয়ে দিচ্ছে পর্যবেক্ষক মহলের একাংশ৷