ঝাড়গ্রাম নিউজ ফ্ল্যাশ ডেস্ক : ঝাড়গ্রাম কুমুদ কুমারী স্কুলের মাঠ বাঁচাতে যখন বৈঠকে বসতে চলেছেন স্কুলের প্রাক্তনীরা ও সচেতন নাগরিক মঞ্চের ব্যক্তিরা। ইতিমধ্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় মাঠ বাঁচানোর ডাক দিয়ে ঝড় উঠেছে শহরবাসীর মধ্যে। ঠিক তখনই শুক্রবার দুপুরে নিজের ফেসবুকে পোস্ট করে জঙ্গলমহল উৎসবের বিকল্প মাঠের সন্ধান দিলেন তৃণমূল নেতা সৌমেন আচার্য। একদা টিএমসিপির পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার সহ-সভাপতি সৌমেন আচার্য বরাবরই ‘ঠোঁটকাটা’ হিসেবে পরিচিত। দলের ছাত্র সংগঠনকে শক্তিশালী করতে দলের মধ্যে কোনঠাসা হয়েছে তিনি। রাজ্যের মন্ত্রী সভার গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী তথা পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়ন মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায় ঝাড়গ্রামে এসে বলেছিলেন,’কুমুদ কুমারী স্কুল মাঠে জঙ্গলমহল উৎসব হবে। ওটা আমাদেরই সম্পদ। ওখানে বাঁশ পোঁতার জন্য গর্ত হয়ে থাকে বা পেরেক পড়ে থাকে। সেই কাজগুলো আমার ফেলে দিয়ে চলে আসব না। আমরা ঠিক করে দেব।’ কিন্তু প্রশ্ন তোলেন ঝাড়গ্রাম শহরের বাসিন্দারা। কারণ চলতি বছর মে মাসে ঝাড়গ্রাম কুমুদ কুমারী স্কুলের মাঠে প্রায় ৩৩ লক্ষ টাকা খরচ করে পশ্চিমবঞ্চল উন্নয়ন পর্ষদ থেকেই ঘাস লাগানো হয়েছে। সেই সঙ্গে মাঠের চারিপাশে ফেনসিং করা হয়েছে। স্কুলের মাঠে যেমন চেহারা পাল্টেছে, সেরকম স্কুলের সৌন্দর্যায়ন বেড়েছে। প্রশ্ন তাহলে এত টাকা খরচ করে মাঠে ঘাস লাগানোর দরকার কি ছিল ? এই মুহূর্তে ঝাড়গ্রামে একটাই আলোচ্য বিষয় জঙ্গলমহল উৎসব এবারে হবে কোথায় ? আর তার মাঝেই তৃণমূল নেতা সৌমেন আচার্য নিজের ফেসবুক পেজে তা বাতলে সমাধানের পথ দেখালেন। শুক্রবার দুপুর ২টা ১৮ মিনিটে সৌমেন লিখেছেন,’বিকল্প মাঠ হিসেবে ঝাড়গ্রাম পৌর ময়দানে জঙ্গলমহল উৎসব করা হোক। আর পুরসভার ১-৭ ওয়ার্ড বার বার উপেক্ষিত!’ আর দলমত নির্বিশেষে তাঁকে ফেসবুক পেজে সবাই সমর্থন করেছেন। কারণ পৌর ময়দানে একবার মেলা হয়েছিল দীর্ঘ কয়েক বছর আগে। তারপর থেকে আর কোন অনুষ্ঠান হয়নি।