ঝাড়গ্রাম নিউজ ফ্ল্যাশ ডেক্স :- বাংলাদেশে ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনা। নিহত কমপক্ষে ১৫ জন যাত্রী। মঙ্গলবার ভোর রাতে ব্রাহ্মণবেড়িয়া জেলার কসবা থানা এলাকায় দুই যাত্রীবাহী ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষ ঘটে। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় উদ্ধারকাজ চালাচ্ছে প্রশাসন।
এদিন ভোর ৩টে নাগাদ ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথের মন্দবাগ এলাকায় এই দুর্ঘটনাটি ঘটে। সিলেট থেকে চট্টগ্রামগামী ‘উদয়ন এক্সপ্রেস’ লুপ লাইন দিয়ে মন্দবাগ স্টেশনে প্রবেশ করছিল রাত ২.৪৩ মিনিটে। একই সময় চট্টগ্রাম থেকে ঢাকাগামী ‘তুর্ণা নিশীথা এক্সপ্রেস’ মন্দবাগ স্টেশনের মূল লাইনে দাঁড়ানোর কথা ছিল। তবে তুর্ণা এক্সপ্রেস স্টেশনে না দাঁড়িয়ে স্বাভাবিক গতিতে চলতে থাকে। উদয়ন এক্সপ্রেস লুপ লাইনে ঢোকার মুখে তুর্ণা এক্সপ্রেসের সঙ্গে ধাক্কা লাগে। উদয়ন এক্সপ্রেসের ইঞ্জিনের দিক থেকে ৭, ৮ ও ৯ নম্বর বগি তুর্ণার ইঞ্জিনের ধাক্কায় চূর্ণ-বিচূর্ণ হয়। দুর্ঘটনার পর ভোর ছ’টা নাগাদ উদয়ন এক্সপ্রেস ক্ষতিগ্রস্ত তিনটি কোচ ও পেছনের তিনটি কোচ রেখে দিয়ে ছয়টি কোচ নিয়ে সিলেটে রওনা দেয়। তুর্না এক্সপ্রেসের ইঞ্জিন বিকল হয়ে গিয়েছে।
এদিকে, এই ঘটনায় উচ্চপর্যায়ের তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে রেলবিভাগ। একই সময়ে দু’টি ট্রেন একই লাইনে কীভাবে চলে আসে? তাহলে কি সিগন্যাল সিস্টেম কাজ করেনি? চালকের গাফিলতিতেই কি দুর্ঘটনা? eই সমস্ত প্রশ্নের উত্তর খুঁজবেন তদন্তকারীরা। তবে অভিযোগ, বাংলাদেশে প্রায়শই ঘটা ট্রেন দুর্ঘটনার পরও কিন্তু সেই অর্থে পরিকাঠামো উন্নয়নে মনোযোগ দেয়নি রেলবিভাগ।