Breaking
28 Dec 2024, Sat

বুলবুলের মোকাবিলায় জোর প্রস্তুতি, খুলল কন্ট্রোল রুম, ত্রাণসামগ্রী মজুত

ঝাড়গ্রাম নিউজ ফ্ল্যাশ ডেক্স :- সাইক্লোন ‘বুলবুল’ মোকাবিলায় সবরকম প্রস্তুতি নিল নবান্ন। শুক্রবার কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের উদ্বোধনী পর্ব নিয়ে ব্যস্ততার মাঝেও সাইক্লোন মোকাবিলায় যাবতীয় প্রস্তুতি চূড়ান্ত করতে আধিকারিকদের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। উপকূলবর্তী জেলাগুলিতে বিশেষ করে নদী-সমুদ্র লাগোয়া অংশে পর্যাপ্ত ত্রাণসামগ্রী, উদ্ধারকারী দল এবং প্রশাসনিক প্রস্তুতিতে যাতে কোনও খামতি না থাকে, তা তদারকি করেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিন সন্ধ্যা থেকে গভীর রাত পর্যন্ত সেচ, জনস্বাস্থ্য কারিগরি, স্বাস্থ্য, পরিবহণ, বিদ্যুৎ, পঞ্চায়েত, দমকল, ত্রাণ-বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তর, এনডিআরএফ এবং এসডিআরএফ কর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে পরিস্থিতি পর্যালোচনা করেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে নবান্নে প্রাকৃতিক বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তরের ইমার্জেন্সি অপারেশনাল সেন্টার (ইওসি) শুক্রবার সকাল থেকেই কাজ শুরু করে দিয়েছে। বিপর্যয় কেটে না যাওয়া পর্যন্ত দিন-রাত চালু থাকবে ইওসি। ইওসি কন্ট্রোল রুমের ফোন নম্বর হল ১০৭০ এবং ০৩৩-২২১৪-৩৫২৬। পরিস্থিতি মোকাবিলায় সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে উপকূলরক্ষী বাহিনী এবং বিএসএফকে। প্রয়োজনে বন্যপ্রাণীদের উদ্ধারের জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরের রেসকিউ টিমকে প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে।
নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, সাইক্লোন বুলবুল সরাসরি প্রভাব ফেলবে এমন তিন জেলা দুই ২৪ পরগনা এবং পূর্ব মেদিনীপুরের সঙ্গেই ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে এমন চার জেলা হাওড়া, হুগলি, নদীয়া ও পশ্চিম মেদিনীপুর প্রশাসনকে সতর্ক করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট জেলাগুলির সমস্ত ব্লক, মহকুমা এবং জেলা সদরে পর্যাপ্ত ত্রাণসামগ্রী মজুত রাখা হয়েছে। এছাড়াও কলকাতা জিআরএস এবং বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তর ও অসামরিক প্রতিরক্ষা দপ্তরের জোনাল গোডাউনগুলিতে ত্রাণসামগ্রী রাখা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট জেলাগুলিতে বাড়তি মাত্রায় ত্রাণসামগ্রী এবং ত্রিপল পাঠানো হয়েছে। সমস্ত জেলায় রাফটিং বোট (রাবারের নৌকো) রাখা হয়েছে। এনডিআরএফ এবং এসডিআরএফ টিমকে ইতিমধ্যেই উপকূলবর্তী তিন জেলার গুরুত্বপূর্ণ অংশগুলিতে মোতায়েন করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সমস্ত দপ্তর নিজেদের মধ্যে দফায় দফায় সমন্বয় বৈঠক করছেন। সাইক্লোনের অভিমুখের সর্বশেষ অবস্থান জানতে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দপ্তরের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা হচ্ছে।নবান্নের ওই সূত্রটি জানিয়েছে, এর আগে আইলায় সুন্দরবনের যে সমস্ত অংশ সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল, সেই সমস্ত অংশ থেকে মানুষকে নিরাপদ জায়গায় সরানোর কাজ চলছে। মাইকে প্রচারের মাধ্যমে সম্ভাব্য বিপদ থেকে সতর্ক করার কাজও চলছে একইসঙ্গে। শুক্রবার থেকে মৎস্যজীবীদের বাংলা-ওড়িশা উপকূলবর্তী সমুদ্র যাত্রায় নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না আসা পর্যন্ত চলবে এই নিষেধাজ্ঞা। দীঘা, মন্দারমণি, শঙ্করপুর, বকখালি, ফ্রেজারগঞ্জ ও সাগরদ্বীপে সমুদ্রভিত্তিক ওয়াটার স্পোর্টস শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে ১০ নভেম্বর পর্যন্ত বন্ধ রাখা হয়েছে।

Developed by