ঝাড়গ্রাম নিউজ ফ্ল্যাশ ডেক্স:- কালীপুজো ও দীপাবলীর দিনে বাজি ফাটানোর বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে এবার খোদ দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের আধিকারিকরা এফআইআর করবেন থানায়৷ পরিবেশ ভবনে এক সাংবাদিক বৈঠক করে এ কথা জানিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ চেয়ারম্যান৷ শুধু এফআইআর করাই নয়, নজরদারি চালানোর মতো একাধিক পদক্ষেপের কথা গ্রহণ করা হয়েছে৷ পর্ষদের তরফ এফআইআরের সিদ্ধান্ত কার্যত পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে৷
পশ্চিমবঙ্গের দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের চেয়ারম্যান কল্যাণ রুদ্র বলেন, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ বাস্তবায়িত করার চেষ্টা করছি৷ সন্ধ্যা আটটা থেকে দশটা পর্যন্ত ৯০ ডেসিবেলের নিচে শব্দ বাজি ফাটানো যাবে৷ দিনের আর কোন সময় ফাতাফাট যাবে না৷ প্রতিবছরের মতো কন্ট্রোল রুম খোলা থাকছে৷ নজরদারি চালানো হবে৷ আবাসনে কেউ আইন ভাঙলে আবাসন কমিটির সভাপতিদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়া হবে৷ জরিমানা করা হবে৷ আমাদের পরিবেশ অ্যাপ ব্যবহার করে যেকোনও নাগরিক অভিযোগ জানাতে পারেন৷ অভিযোগের ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেওয়া হবে৷ হেল্পলাইন নম্বর হল,২৩২৫৮২১২, ২৩২৫৩৯১৯ ও টোল ফ্রি নম্বর ১৮০০৩৪৫৩৩৯০৷
গতবছর বাজি ফাটানোর নিরিখে শহরে বেশ কিছু জায়গার তালিকা করা হয়েছে৷ যেখানে ব্যাপক বাজি ফাটানো হয়, সেখানে নজরদারি জোরদার হচ্ছে৷ আটটি দল শহরের বিভিন্ন জায়গায় ঘুড়বে৷ জানা গিয়েছে, আইন ভঙ্গকারীদের বিরুদ্ধে ১৮৮ ধারা ও পরিবেশ আইনের ১৫ নম্বর ধারা অনুযায়ী এফআইআর করতে পারবেন স্থানীয় থানায়৷ এরপর পরিস্থিতি বুঝে জরিমানা করা হবে৷ তবে পর্ষদ চেয়ারম্যানের এই সিদ্ধান্তের জেরে দূষণ ঢাকাতে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে প্রশ্ন৷ তাহলে কি পুলিশ তার কাজ সঠিকভাবে বিগত বছরগুলিতে করেনি? তাহলে কি বাধ্য হয়ে দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ অভিযোগ দায়ের করার সিদ্ধান্ত নিল কেন?যদিও পুলিশের ভূমিকা নিয়ে কিছু বলতে চাননি তিনি৷ বলেছেন, আমরা আইন অনুযায়ী এফআইআর করতে পারি৷ পুলিশের সঙ্গে এই অভিযানে আমারাও যাব৷ অভিযোগ প্রমাণে ৫ বছর পর্যন্ত জেল ও এক লক্ষ টাকা পর্যন্ত আর্থিক জরিমানা হতে পারে৷
সৌজন্যে :- আজ বিকেল