ঝাড়গ্রাম নিউজ ফ্ল্যাশ ডেস্ক: কন্যার বদলে পুত্র সন্তান দেওয়ার অভিযোগ উঠল ঝাড়গ্রাম সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের বিরুদ্ধে। গত সেপ্টেম্বর মাসের ৮তারিখ গোপীবল্লভপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি হন গোপীবল্লভপুর ১নং ব্লকের আসুই গ্রামের বাসিন্দা পূজা সেনাপতি। ওখানেই তিনি জন্ম দেন এক কন্যা সন্তানের। বাচ্চার ওজন ছিল ৮০০ গ্রাম। সে কারণেই ঝাড়গ্রাম সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করে দেয় হাসপাতাল কতৃপক্ষ। এটি পূজা দেবীর দ্বিতীয় সন্তান। প্রথম একটি পুত্র সন্তান রয়েছে। সেখান থেকে শুধু বাচ্চাটাকেই রেফার করে দেয়। বাচ্চার মা গোপীবল্লভপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিন দিন। মা কে ছুটি দিয়ে দেওয়ায় মা বাড়ি চলে যান। শুধু কন্যা সন্তানটি ভর্তি ছিল ঝাড়গ্রাম সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে। পূজা দেবী বলেন, ১৩ দিন পর এসে পেম্পার্স পালটাতে গিয়ে দেখি যে ওটা পুত্র সন্তান। তারপর পাশে থাকা নার্স ম্যাডামকে জানাই। অথচ আমাদের কাগজ, হাসপাতাল থেকে যে কাগজ দিয়েছিল, রেফার কাগজেও লিখা ছিল কন্যা সন্তান। ঝাড়গ্রামেও যখন ভর্তি নিয়েছে লিখেছে কন্যা সন্তান। এখন বলছে পুত্র সন্তানকে নিতে হবে। তৎক্ষনাত উনি হাসপাতালের ডাক্তার এবং নার্সদের জানান যে আমার তো মেয়ে সন্তান ছিল ছেলে সন্তান কি করে হল? তখন তাঁকে ডাক্তার ও নার্সরা ধমক দেন। ডাক্তাররাও জানিয়ে ছিলেন যে লিলি ঘড়াই নামে ওই মহিলাকে ছেলে বাচ্চা দেওয়া হবে এবং তোমাকে মেয়ে দেওয়া হবে। মহিলা ডি এন এ টেস্টের আবেদন করেছিলেন। তারপর ডাক্তার ও নার্সরা হুমকি দেখিয়ে বলেন এই কথাটা বাড়িবাড়ি হলে আমাদের ট্রান্সফার হয়ে যাবে। ওইদিনই ১১টার সময় ডেকে ওনাকে বলা হয় আপনার বাচ্চা অসুস্থ। ওনাকে স্বাক্ষর করতে বলা হয় কোন এক কাগজে। তারপর জোর করে ছুটি দিয়ে দেয়। বেশি বাড়াবাড়ি করলে হোমে পাঠিয়েদেবেন এমনটাই হুমকি দিয়েছেন হাসপাতালের ডাক্তাররা। লিখিত ভাবে থানায় ও সুপারকে অভিযোগ জানিয়েছেন কন্যা সন্তানের মা।