ঝাড়গ্রাম নিউজ ফ্ল্যাশ ডেক্স:- গ্রাহকদের ডিজিটাল রেশন কার্ডে আধার নথিভুক্তিকরণের কাজ এবার শুরু করছে খাদ্য দপ্তর। সপ্তাহে দু’দিন (মঙ্গল ও বুধবার) রেশন দোকানে ইলেকট্রনিক পয়েন্ট অব সেলস (ই-পস) যন্ত্রে এই নথিভুক্তিকরণের কাজ করা হবে। তাছাড়া খাদ্য দপ্তরের স্থানীয় অফিসে সোম থেকে শনিবার পর্যন্ত কাজের দিনগুলিতে নথিভুক্তিকরণ করা যাবে। খাদ্য দপ্তর গত ১৮ সেপ্টেম্বর এই সংক্রান্ত নির্দেশিকা জারি করেছে। কাল, সোমবার থেকে শুরু হওয়া সপ্তাহেই এই কাজ শুরু হয়ে যাবে।
নথিভুক্তিকরণের কাজ চলার জন্য সপ্তাহের ওই দু’দিন রেশন গ্রাহকদের কোনও খাদ্যসামগ্রী দেওয়া হবে না। রেশন দোকানে সোমবার সাপ্তাহিক ছুটি থাকে। আপাতত বুধ থেকে রবি, সপ্তাহের এই পাঁচদিন রেশনে খাদ্য সংগ্রহ করতে পারবেন রেশন গ্রাহকরা। খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক জানিয়েছেন, সব রেশন গ্রাহকের আধার নথিভুক্তিকরণ বড় কাজ। তাই কয়েক মাস সময় লাগবে।
আধার নথিভুক্তিকরণের ব্যাপারে ফুড কমিশনার মনোজ আগরওয়াল যে নির্দেশিকা জারি করেছেন, তাতে এই কাজ কীভাবে হবে, তা বিস্তারিতভাবে জানানো হয়েছে। জাতীয় খাদ্য সুরক্ষা প্রকল্প ও রাজ্য সরকারের দু’টি খাদ্য সুরক্ষা প্রকল্পে এখন প্রায় ৯ কোটি ১০ লক্ষ রেশন গ্রাহকের ডিজিটাল কার্ড আছে। কার্ড করার জন্য বিশেষ অভিযান এখন চলছে। এতে কার্ডের সংখ্যা আরও বাড়বে। রেশন দোকানের মাধ্যমে সরকারি ভর্তুকিতে চাল-গম নিতে গেলে এই বিপুল সংখ্যক রেশন গ্রাহকের আধার নথিভুক্তিকরণ করতে হবে। স্বাভাবিকভাবেই সপ্তাহের নির্দিষ্ট দু’টি দিনে রেশন দোকানগুলিতে ব্যাপক ভিড় হবে গ্রাহকদের। তাই খাদ্য দপ্তরের স্থানীয় অফিসে গিয়েও আধার নথিভুক্তিকরণ করার বিকল্প ব্যবস্থা করা হয়েছে।
আধার নথিভুক্তিকরণ না হলে আগামী দিনে রেশন গ্রাহকরা ভর্তুকিতে খাদ্য পাবেন না। কবে থেকে তা চালু হবে, সেটা অবশ্য এখনও কেন্দ্রীয় সরকারও জানায়নি। তবে কেন্দ্র সেপ্টেম্বরের মধ্যে আধার নথিভুক্তিকরণের সময় দিয়েছে। এর আগেও বেশ কয়েক দফায় এই সময়সীমা বাড়ানো হয়েছে। এবারও সময়সীমা কিছুটা বাড়ানোর জন্য রাজ্য সরকারের তরফে খাদ্যমন্ত্রকের কাছে অনুরোধ জানানো হবে। কারণ ৯ কোটির বেশি রেশন গ্রাহকের আধার নথিভুক্তিকরণ করতে সময় লাগবে। খাদ্য দপ্তরের নির্দেশিকায় উল্লেখ করা হয়েছে, গত ৩০ আগস্ট বিধানসভায় সর্বদলীয় বৈঠকে রেশন গ্রাহকদের আধার নথিভুক্তিকরণের কাজ নভেম্বরের মধ্যে শেষ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। বিজ্ঞপ্তিতে অবশ্য বলা হয়েছে, সব গ্রাহকের নথিভুক্তিকরণ না হওয়া পর্যন্ত এই প্রক্রিয়া চলবে।
খাদ্য দপ্তরের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, রেশন গ্রাহক তাঁর পরিবারের সব সদস্যের আধার নম্বর দিয়ে নথিভুক্তিকরণ করাতে পারবেন। পরিবারের একজন সদস্য সবার আধার কার্ড নিয়ে গিয়ে এই কাজ করাতে পারবেন। খাদ্যসামগ্রী নেওয়ার সময় নথিভুক্তদের আধার নম্বর ই-পস যন্ত্রে আঙুলের ছাপের মাধ্যমে যাচাই করা হবে। পরিবারের একজন সদস্য এসে আধার নম্বর যাচাই করে সবার বরাদ্দের খাদ্য সংগ্রহ করতে পারবেন। গ্রাহকের মোবাইল নম্বর যন্ত্রে নথিভুক্ত করা হবে। কারণ রেশন নেওয়ার সময় নথিভুক্ত মোবাইলে ওটিপি আসবে। সেই ওটিপি ই-পস যন্ত্রে দিতে হবে। রেশন ব্যবস্থায় স্বচ্ছতা আনতে এইসব ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। খাদ্যসামগ্রী বাইরে পাচার হওয়া আটকানো যাবে বলে সরকারের আশা।