ঝাড়গ্রাম নিউজ ফ্ল্যাশ ডেক্স:- আর মাত্র কয়েকদিনের অপেক্ষা। শরতের মেঘলা আকাশ, শিউলি ফুলের গন্ধ জানান দিচ্ছে সে কথা। আর এরই মধ্যে নিজেদের নতুন নতুন চিন্তাভাবনা নিয়ে প্যান্ডেলের কাজ শুরু করেছে দুর্গা পুজো কমিটি এবং ক্লাবগুলি। পুজো মানেই থিমের দৌড়ে কে এগিয়ে কে পিছিয়ে।
ঝাড়গ্রাম ব্লকের বিরিহাঁড়ি গ্রামের পুজো কমিটির উদ্যোক্তারা এবার অভিনব পুজোর আয়োজন করেছেন। এখানে দেবী দুর্গার চোখের পলক নড়বে। কখনও দেবীর রুদ্রমূর্তি, আবার কখনও দেবীর হাসিমুখ দেখা যাবে। শুনলে অবাস্তব মনে হলেও বাস্তবে এখানে ‘জীবন্ত দুর্গা’ দেখা যাবে। এবার চতুর্থ বর্ষে পড়া ঝাড়গ্রাম ব্লকের প্রত্যন্ত গ্রামের এই পুজোর বাজেট ৮ লক্ষ টাকা।
মণ্ডপটি তৈরি হচ্ছে সুপ্রিম কোর্টের আদলে। আদালতের ভিতরে থাকবে ১২ ফুটের যমরাজ। যমারাজের ২৮রকম শাস্তির দৃশ্য মিলবে আদালতের ভিতরে। এজন্য ২৮টি মাটির মূর্তি তৈরি করা হয়েছে। কন্যাভ্রুণ হত্যা, বাবা-মাকে অবহেলা, বধূ নির্যাতন, কাটমানি, ভূগর্ভস্থ জলের অপচয়, বৃক্ষছেদনের জন্য যমরাজ কী কী সাজা দিচ্ছেন, তা মণ্ডপের ভিতরেই দেখতে পাওয়া যাবে। ‘জীবন্ত দুর্গাটি’ তৈরি হচ্ছে মাটি দিয়ে। শুধুমাত্র গলা থেকে মুখমণ্ডল হবে সত্যি মানুষের। জীবন্ত দুর্গারূপে থাকবেন পাঁচজন মহিলা। তাঁরাই পর্যায় ক্রমে দেবীর মূর্তি ধারণ করবেন। তাঁদের কখনও রুদ্ররূপে আবার কখনও হাসিমুখে দেখা যাবে। পুজোর ষষ্ঠী থেকে দ্বাদশী পর্যন্ত সকাল ৮টা থেকে রাত্রি ১২টা পর্যন্ত জীবন্ত দুর্গা দেখা যাবে। তবে পুজোর জন্য থাকলে আলাদা প্রতিমা। নিয়ম মেনে একটি বাইকে দু’জন হেলমেট পরে গাড়ি চালিয়ে এই পুজো দেখতে এলে তাঁদের আর লাইন দিয়ে পুজো দেখতে হবে না। মণ্ডপ থেকে এক কিলোমিটার দূরে ওয়াকিটকি নিয়ে রাস্তায় থাকবেন কমিটির সদস্যরা। বাইকের পাশাপাশি চারচাকার ক্ষেত্রেও নিয়ম মেনে যাঁরা পুজো দেখতে আসবেন, তাঁদের এক কিমি আগে থেকে চিহ্নিত করে ‘ছাড়পত্র’ দেবেন সদস্যরা। সেই ছাড়পত্র দেখিয়ে মণ্ডপের ভিআইপি গেট দিয়ে ঢুকতে পারবেন দর্শকরা। মণ্ডপের বাইরে ‘সেফ ড্রাইভ সেভ লাইভ’, ‘জল সংরক্ষণ’, ‘গাছ লাগান প্রাণ বাঁচান’ সহ নানা বিষয়ে সচেতন করা হবে দর্শনার্থীদের।