ঝাড়গ্রাম নিউজ ফ্ল্যাশ ডেক্স:- উপযুক্ত সাক্ষ্য-প্রমাণ না থাকায় এবার হাজরা মোড়ে ১৯৯০ সালের ৬ আগস্ট মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপর হামলা চালানোর মামলায় অভিযুক্তকে বেকসুর খালাস দিলেও আলিপুর আদালত৷
আজ মামলার শুনানিতে দীর্ঘ সওয়াল-জবাব শোনার পর অভিযুক্ত লালু আলমকে বেকসুর খালাসের নির্দেশ দিয়েছে আলিপুর আদালত৷ প্রায় ৩০ বছর আগের এই মামলায় কোনও সাক্ষ্য-প্রমাণ না থাকায় দোষীদের ছেড়ে দেওয়ার পথেই হেঁটেছে আদালত৷ তবে এই নিন শুরু হয়েছে নয় বিতর্ক৷ খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপর হামলার ঘটনায় পুলিশ কেন তদন্তের গতি এগুল না, তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন৷
জানা গিয়েছে, হাজার মোড়ে ১৯৯০ সালে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপর হামলার ঘটনায় মূল অভিযুক্ত লালু আলম সহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয় ভবানীপুর থানায়৷ সেই মামলায় ১৯৯২ সালে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সাক্ষ্য দিয়েছিলেন৷ দীর্ঘদিন ধরে আলিপুর আদালতে মামলা চলছিল৷ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাক্ষ্য নেওয়ার জন্য সম্প্রতি আইনজীবী আবেদন জানান৷ বিচারপতিও সেই আবেদন মঞ্জুর করেন৷ কিন্তু সরকারি আইনজীবীদের তরফে জানানো হয়, ওই ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ইতিমধ্যেই প্রতায় হয়েছেন৷ ফলে অপরাধ প্রমাণের সম্ভাবনা খুবই কম৷ ফলে মামলাটি নিষ্পত্তি করে দেওয়া হোক৷
বিচারপতির কাছে আবেদন জানানো হয়৷ এই মর্মে সব পক্ষের সওয়াল জবাব শুনার পর আজ মামলার রায় ঘোষণার হওয়ার কথা ছিল৷ আলিপুর আদালত এই মামলায় আজ অভিযুক্তকে বেকসুর খালাস আলিপুর আদালত৷ যদিও এর আগে লালুকে ক্ষমা করে দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ আদালতের রায় ঘোষণা হতেই কেঁদে ফেলেন লালু আলম৷ বলেন, ‘‘৩০ বছরের সমস্যা মিটে গেল৷ এটা আমার শেষ, ওনার শুরু৷’’