ঝাড়গ্রাম নিউজ ফ্ল্যাশ ডেক্স:- কথায় বলে ‘দিল্লি কা লাড্ডু’! খেলেও পস্তাবেন, না খেলেও পস্তাবেন। তবে এই লাড্ডু দিল্লির নয়, মেরঠের। যা খেয়ে রীতিমত নাজেহাল এক ব্যক্তি, সটান মামলা ঠুকে দিয়েছেন তাঁর স্ত্রীয়ের নামে।
লাড্ডু খেয়েই পেট ভরাতে হবে, কড়া নির্দেশ স্ত্রীয়ের। অমান্য করবার উপায় নেই। স্বামীর অভিযোগ, সক্কাল সক্কাল ঘুম থেকে উঠেই বরাদ্দ চারটে লাড্ডু। তারপর একেবারে সন্ধেয় আবার চারটে লাড্ডু। এই খাবারই নিয়ম করে খেতে দেন স্ত্রী। তার আগে, পরে আর কিছু নেই। খিদে পেলে পেট ধরে বসে থাকতে হবে। স্ত্রীয়ের চোখ রাঙানি এড়িয়ে আর কিচ্ছুটি দাঁতে কাটার উপায় নেই।
উত্তরপ্রদেশের মেরঠের বাসিন্দ ওই ব্যক্তির এখন নাজেহাল দশা। ফ্যামিলি কোর্টে ডিভোর্সের মামলা ঠুকে দিয়েছেন স্ত্রীয়ের নামে। আইনজীবীকে জানিয়েছেন, তাঁর স্ত্রী এক তান্ত্রিক ‘বাবা’র নির্দেশে এইসব কাজ করছেন। সেই তান্ত্রিকেরই নাকি নিদান, দিনে-রাতে শুধু লাড্ডু খেতে দিতে হবে স্বামীকে। তাহলেই সম্পর্ক হবে একেবারে জোরদার। স্বামীও কথা শুনে চলবে বাধ্য ছেলের মতো। তান্ত্রিকের কথা শুনে ঠিক এই ভাবেই তাঁকে মাসের পর মাস লাড্ডু খাইয়ে চলেছেন তাঁর স্ত্রী।
মেরঠের ওই দম্পতির কাউন্সেলিং চলছে। কাউন্সেলার জানিয়েছেন, ওই দম্পতির বিয়ে হয়েছে ১০ বছর। তাঁদের তিন সন্তান রয়েছে। ওই মহিলা ভয়ঙ্কর ভাবে কুসংস্কারে বিশ্বাসী। এর আগেও অনেক তান্ত্রিক, পূজারীদের কথামতো কাজ করেছেন। মহিলার ধারণা, তাঁর স্বামী অসুস্থ। তান্ত্রিকের নির্দেশ মেনে লাড্ডু খাওয়ালেই তিনি সুস্থ হবেন। এমনকি কাউন্সেলিং চলার সময়েও বার বার একই কথা বলছিলেন তিনি।