ঝাড়গ্রাম নিউজ ফ্ল্যাশ ডেক্স:- বাংলাদেশে ডেঙ্গির প্রকোপ বাড়ছে দেখে আগেই পশ্চিমবঙ্গবাসীকে সতর্ক করে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী তথা স্বাস্থ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এ বার ডেঙ্গি মোকাবিলায় ৭ কোটি টাকার তহবিল ঘোষণা করল রাজ্যের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ দফতর।
ডেঙ্গি মোকাবিলার ওষুধ ‘লার্ভিসাইড’ কেনার জন্য ওই টাকা খরচ করা হবে বলে জানানো হয়েছে স্বাস্থ্য দফতরের তরফে। এ বিষয়ে দফতরের যুগ্ম সচিব চিঠি দিয়ে তহবিল বরাদ্দের কথা জানিয়েছেন ওয়েষ্ট বেঙ্গল মেডিক্যাল সার্ভিসেস কর্পোরেশন লিমিটিটেডের ম্যানেজিং ডিরেক্টর কে। চিঠিতে ডেঙ্গি রোধের জন্য এই কিট প্রয়োজন অনুযায়ী বিভিন্ন জেলায় পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
রাজ্যের বেশ কিছু জেলায় ডেঙ্গি আতঙ্কের সৃষ্টি করেছে। বিশেষ করে উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁ মহকুমায় ইতিমধ্যেই ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়ে বেশ কয়েকজনের মৃত্যু হয়েছে। চিঠিতে বলা হয়েছে, দ্রুত ওই সমস্ত এলাকায় ডেঙ্গির লার্ভা মারার কিট পৌঁছে দিতে হবে।
গত ১ অগস্ট নজরুল মঞ্চে ‘সবুজ বাঁচাও সবুজ জাগাও, সবুজের মাঝে পরিবেশ বাঁচাও’ অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “বাংলাদেশ আর আমাদের এক বর্ডার। সেখান দিয়ে মশা ঢুকতে পারে। বাংলাদেশে কামড় দিয়ে মশা ভারতে চলে আসতে পারে আবার এখানে কামড়ে ওখানে চলে যেতে পারে। এ পার বাংলায় কামড়ে ও পার বাংলায় চলে যেতে পারে, আবার ও পার বাংলায় কামড়ে এ পার বাংলায় চলে আসতে পারে।” ২০১৭ সালে বসিরহাট, বাদুড়িয়ায় ডেঙ্গি কার্যত মহামারির আকার নিয়েছিল। বহু মানুষের মৃত্যু হয়েছিল সে সময়ে। তখনও মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, “ওগুলো সব বাংলাদেশের মশা। বর্ডার পেরিয়ে এসে কামড়াচ্ছে। আবার ফিরে যাচ্ছে।”
এমনিতে বর্ষার শেষে পুজোর আগে আগেই ডেঙ্গির প্রকোপ বাড়ে। এ বার তা ঠেকাতে আগে থেকেই নামল রাজ্য। বিভিন্ন জেলায় পুরসভা ও পঞ্চায়েতের তরফে বাড়ি বাড়ি গিয়ে স্বাস্থ্য কর্মীরা খোঁজ নিচ্ছেন, বাড়িতে কারও জ্বর হয়েছে কি না। জ্বর হলেই স্বাস্থ্য কেন্দ্রে খবর দিয়ে রক্ত পরীক্ষা করানোর কাজ চলছে।