ঝাড়গ্রাম নিউজ ফ্ল্যাশ ডেক্স :- এখনও তাঁর শপথ নেওয়া হয়নি। সোমবার সংসদে পা রেখে বুধবারই তিনি নিজের এলাকায় ফিরে এসে নেমে পড়ছেন কাজে। সাংসদ মিমি চক্রবর্তী এদিন সোনারপুর উত্তরের গড়িয়া স্টেশন সংলগ্ন বাজার এবং গড়িয়া মহামায়াতলা লস্করপুরের পানীয় জলের প্রকল্পের কাজ পরিদর্শন করেন। কাজের অগ্রগতি এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়ে কথা বলেন। নির্বাচনের প্রচারে বারে বারে সকলের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছিলেন মিমি। এদিন সেই কথাই রাখলেন।
সাংসদ হিসেবে নির্বাচিত হওয়ার পর কেন্দ্রের কোন কোন প্রকল্প নিয়ে মিমি দরবার করবেন এদিন তার রূপরেখা তৈরি করা হয়। এমনকী সংসদে কোন বিষয় নিয়ে সোচ্চার হবেন তাও তিনি নিজের চোখে দেখে গেলেন। বাজার, রাস্তা, আদিগঙ্গার সংস্কার থেকে পানীয় জলের প্রকল্প— সবই খতিয়ে দেখেন তিনি। এদিন বিকেলে সাংসদ মিমি প্রথমে ঘুরে দেখেন গড়িয়া স্টেশন সংলগ্ন বাজার এলাকা।
রেললাইনের পাশে গড়ে ওঠা এই বাজারের সংস্কার, সম্প্রসারণ ও আধুনিকীকরণ কীভাবে করা যায় তা নিয়ে ব্যবসায়ী ও দোকানদারদের সঙ্গে কথা বলেন। এদিন সাংসদের সফরসঙ্গী ছিলেন সোনারপুর উত্তরের বিধায়ক ফিরদৌসী বেগম ও রাজপুর–সোনারপুর পুরসভার বিভিন্ন এলাকার কাউন্সিলর–সহ বিভিন্ন জনপ্রতিনিধিরা। গড়িয়া বাজার থেকে গঙ্গাজোয়ারা যাওয়ার রাস্তার বেহাল দশা দেখে তিনি থমকে যান। রাস্তার সম্প্রসারণ কীভাবে করা সম্ভব তা নিয়ে আপ্ত সহায়ককে নির্দেশ দেন।
এদিন তিনি ঘুরে দেখেন আদিগঙ্গার বিভিন্ন এলাকা। খ্রিস্টীয় পঞ্চদশ শতক থেকে সপ্তদশ শতাব্দী পর্যন্ত এই আদিগঙ্গা ছিল হুগলি নদীর প্রধান ধারা। আদিগঙ্গার বিভিন্ন অংশের ওপর দিয়ে চলে গেছে গড়িয়া–দমদম মেট্রো রেল। এর সংস্কারের জন্য কেন্দ্র ও রাজ্য বিভিন্ন পরিকল্পনা গ্রহণ করলেও বর্তমানে সেই কাজ একেবারেই থেমে গেছে। সেই কাজ দ্রুত শুরু করার ব্যাপারে ভেবে দেখবেন বলে জানান মিমি।