Breaking
1 Nov 2024, Fri

বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপক শ্রুতিনাথ চক্রবর্তীর বিদায় সংবর্ধনা আবেগ, আন্তরিকতা, ভালোবাসায় পৌঁছে গেল সম্মাননা অনুষ্ঠানে

ঝাড়গ্রাম নিউজ ফ্ল্যাশ ডেস্ক : বিদায় গ্রহণের অনুষ্ঠানে তাঁর ছিল প্রবল আপত্তি। প্রথাগত কর্মজীবনের অবসর নেওয়ার পর বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে রাজি হননি তিনি। তারপরেই বাংলা বিভাগ স্থির করেন অধ্যাপক শ্রুতিনাথ চক্রবর্তীকে সম্মান জানানোর। সে কথা আর ফেলতে পারেননি ছাত্রদরদী অধ্যাপক শ্রুতিনাথ চক্রবর্তী। মঙ্গলবার বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের উদ্যোগে অধ্যাপক শ্রুতিনাথ চক্রবর্তীর অবসর গ্রহণ উপলক্ষে সম্মান জ্ঞাপনের এক অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের বিভিন্ন কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক থেকে শুরু করে তাঁর ছাত্রছাত্রীরা। আর পাঁচটা বিদায় সংবর্ধনা থেকে কিছুটা হলেও ব্যতিক্রমী হয়ে রইল এদিনের অনুষ্ঠান। প্রথাগত ভাবে কর্মজীবন থেকে অবসর নেওয়া অধ্যাপকের বিদায় সংবর্ধনা পৌঁছে গেল সম্মাননা জ্ঞাপনের অনুষ্ঠানে। তাঁকে সম্মান জানাতে ‘শ্রদ্ধাস্পদেষু’ নামে একটি বই প্রকাশ করেন বাংলা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক বাণীরঞ্জন দে। ওই বইতে বঙ্গ এবং বর্হিবঙ্গের গুণীজনেরা অধ্যাপক শ্রুতিনাথ চক্রবর্তী সম্পর্কে তাঁদের বক্তব্য তুলে ধরেছেন। এরই পাশাপাশি অধ্যাপক শ্রুতিনাথ চক্রবর্তীও তাঁর লেখা ‘চিরকুট’ নামে একটি কবিতার বইয়ের প্রকাশ করেন। তাঁর সবচেয়ে পুরোনো ছাত্র তথা অধ্যাপক তারাপদ বেরার হাতে প্রথমে এবং তারপর উপস্থিত অধ্যাপক-অধ্যাপিকা থেকে শুরু করে পড়ুয়াদের হাতে ‘চিরকুট’ বইটি উপহার হিসেবে তুলে দেন অধ্যাপক চক্রবর্তী। ছাত্র-ছাত্রী থেকে শুরু করে অধ্যাপক-অধ্যাপিকারা প্রায় সবাই তাঁদের বক্তব্যে অধ্যাপক শ্রুতিনাথের অগাধ পাণ্ডিত্য ও মৌলিক প্রতিভার কথা তুলে ধরেন। বাংলা বিভাগের প্রধান অধ্যাপক বাণীরঞ্জন দে বলেন,‘সুযোগ্য মানুষকে সুযোগ্য সম্মান জানাতে পেরে আমরা গর্বিত।’ অধ্যাপক চক্রবর্তীকে ‘হিমশৈলের’ সঙ্গে তুলনা করে অধ্যাপক সরোজকুমার পান বলেন,‘তাঁর জ্ঞান, পাণ্ডিত্য এবং নিয়মানুবর্তিতা আমাদের সকলের কাছে শিক্ষণীয়।’ অধ্যাপক সুজিতকুমার পাল তাঁর নামের ‘শ্রুতি’র সঙ্গে সুরের মিল উল্লেখ করে বলেন,‘কর্মজীবনের সঙ্গে ব্যক্তিজীবনে স্যারের নাম সার্থকতা লাভ করেছে।’ অধ্যাপিকা মনাঞ্জলি বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন,‘সবকিছুই আমি স্যারের কাছ থেকে শিখেছি। যার জন্য এখন স্যারের অভাব বোধ করি।’ আর যাঁকে সম্মাননা জানালো হল তিনি তাঁর বক্তব্যে বললেন,‘বিচ্ছিন্নতা সব সময় বেদনাদায়ক নয়। মাতৃজঠর থেকে বিচ্ছিন্ন নাহলে আমরা মাকে ভালো করে পাই না। তাই বিচ্ছিন্ন নাহলে পূর্ণতা আসে না।’

Developed by