ঝাড়গ্রাম নিউজ ফ্ল্যাশ ডেস্ক : বয়স আশির কাছাকাছি। শরীরে হয়েছে অস্ত্রোপচার। কিন্তু রাজনীতি থেকে সন্ন্যাস নেননি তিনি। এখনও সাদা ধুতি-পাঞ্জাবী পরে স্বচ্ছন্দে ঘুরে বেড়ায় এদিক-ওদিকে। গাড়ি নয় বাইকই তাঁর পছন্দের। তিনি আর কেউ নন, তিনি হলেন ঝাড়গ্রামের প্রবীণ বামপন্থী নেতা
ডহরেশ্বর সেন। যাঁকে সকলে ‘ডহরদা’ নামেই বেশি চেনেন। আর তিনিও হাতের তালুর মত চেনে ঝাড়গ্রাম জেলাকে। প্রচার বিমুখ এই নেতার জনসংযোগে এখনও ভাটা পড়েননি। তার প্রমাণ পাওয়া গেল সিপিএমের বেশ কিছু সভা ও কর্মী বৈঠকে। যেমন গতকালই বেলপাহাড়ির বৃন্দা কারাটের সভায় বেশ কিছু দলীয় কর্মী খুঁজছিলেন তাঁদের ‘প্রিয়’ ডহরদা কে। কিন্তু গতকালের দেবলীনা হেমব্রমের সভায় ডহরদা কে খোঁজার মধ্য দিয়ে বোঝা যাচ্ছিল তিনি এখনও ঝাড়গ্রামের দলীয় নেতা
কর্মীদের কাছে কতটা গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে। কিন্তু
ইদানিং ডহর সেনকে আর প্রচার-মিছিলে দেখা যাচ্ছে না। ঝাড়গ্রাম লোকসভার বাম প্রার্থী দেবলীনা হেমব্রমের সঙ্গে বেশি দেখা যাচ্ছে জেলা সম্পাদক পুলিনবিহারী বাস্কেকে। দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পুলিন জেলা সম্পাদক হওয়ার পর থেকেই
দলে কোনঠাসা করে রাখা হয়েছে ডহর সেনকে। আর সেই ডহর সেনকে সামনে রেখে দীর্ঘদিন পর মানিকপাড়ায় প্রার্থীকে সঙ্গে নিয়ে প্রচার মিছিল করতে দেখা গেল মঙ্গলবার বিকেলে। ঘটনাচক্রে মঙ্গলবারই বেলপাহাড়িতে বৃন্দার সভায় লোক হয়নি।যদিও দলীয় কর্মীরা বলছেন,’শাক দিয়ে কি মাছ ঢাকা যায় ? কর্মীরা যাকে নেতা হিসেবে মানবে তিনিই নেতা। পদে বসে কি হবে ? শুধু ওজন দেখানো যাবে। আর বেলপাহাড়ির বৃন্দা কারাটের সভা ডেকে লোক দেখানো যাবে না!’