ঝাড়গ্রাম নিউজ ফ্ল্যাশ ডেক্স:- লোকসভা নির্বাচনের শুরুতেই ফের বিতর্কে তাঁর শিক্ষাগত যোগ্যতা। কেন্দ্রীয় বস্ত্রমন্ত্রী স্মৃতি ইরানির শিক্ষাগত যোগ্যতা ঠিক কী, আদৌ তিনি স্নাতক, নাকি স্নাতক নন সেই নিয়ে বিতর্কের সূত্রপাত হয় পাঁচ বছর আগেই। বিরোধীদের তোপের মুখে, নির্বাচন কমিশনের কাছে নিজের শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে ভুল তথ্য দিয়েছেন বলে অভিযোগও ওঠে নানা মহলে। তবে ভোটের হাওয়া শুরু হতেই সব বিতর্কে জল ঢেলে দেন স্মৃতি নিজেই।তিন বছরের ডিগ্রি কোর্স তিনি শেষ করেননি। বৃহস্পতিবার আমেঠিতে মনোনয়নপত্র দাখিলের সময়ে দেওয়া হলফনামায় এমনটাই জানালেন স্মৃতি ইরানি। এই প্রথম নিজে তাঁর শিক্ষাগত যোগ্যতার কথা স্বীকার করলেন স্মৃতি। উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার যজ্ঞ করে আমেঠিতে মনোনয়নপত্র দাখিল করেন স্মৃতি ইরানি। তাঁর বিরুদ্ধে প্রার্থী খোদ কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী। নির্বাচন কমিশনে দেওয়া হলফনামায় তিনি জানিয়েছেন, তিন বছরের ডিগ্রি কোর্সের পার্ট ওয়ান পর্যন্ত তিনি পড়াশোনা করেছিলেন। কিন্তু তিনি তা শেষ করেননি। অর্থাৎ স্নাতক নন। ১৯৯৪ সালে বাণিজ্য বিভাগে স্নাতক হওয়ার জন্য ভর্তি হন দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের ওপেন লার্নিং কোর্সে।বৃহস্পতিবার নির্বাচন কমিশনের কাছে হলফনামা পেশ করে স্মৃতি জানান, দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অব করেসপন্ডেন্সে বি কম পড়তে শুরু করেছিলেন তিনি। পার্ট ওয়ানের পরীক্ষাও দেন, তবে তিন বছরের কোর্স শেষ করতে পারেননি। তাই স্নাতকের কোনও ডিগ্রি নেই তাঁর।কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় সর্বকনিষ্ঠ মন্ত্রী স্মৃতি। কিন্তু শুরু থেকেই বিতর্কের শিকার তিনি। উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের পর এবারও আমেঠিতে রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে লড়াই করছেন স্মৃতি ইরানি। গতবার তিনি হারেন ১ লাখেরও বেশি ভোটে। তবে গত এক বছর ধরে তিনি এই কেন্দ্রে কঠোর পরিশ্রম করেছেন। ফলে এবার আরও ভালো ফল হওয়া সম্ভাবনা রয়েছে বলে মনে করছে গেরুয়া শিবির।