Breaking
2 Nov 2024, Sat

দিল্লির মসনদ দখলের লড়াই শুরু

ঝাড়গ্রাম নিউজ ফ্ল্যাশ ডেক্স:- আজ এরাজ্যের দুই লোকসভা কোচবিহার ও আলুপিরদুয়ারে ভোট গ্রহণ করা হচ্ছে। দুই কেন্দ্রের বেশ কিছু বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী না থাকায় অশান্তির আশঙ্কা করছিল রাজ্যের বিরোধী রাজনৈতিক দল গুলো। তা নিয়ে গতকাল কেন্দ্রীয় পুলিশ পর্যবেক্ষক বিবেক দুবে কোচবিহারে আসলে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট করানোর দাবি জানানো হয়।

তবে এদিন সকাল থেকেই বেশ কিছু বুথে ভোটারদের লম্বা লাইন দেখা গিয়েছে। রাজ্যের বিরোধী রাজনৈতিক দল গুলোর দাবি, গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে ভোট দিতে পারে নি বলে এবার নিজের ভোট নিজে দেওয়ার তাগিদে মানুষ সকাল থেকেই বুথে লম্বা লাইন দিচ্ছে।

লোকসভা নির্বাচনের প্রথম দফায় আজ রাজ্যে কোচবিহার ও আলিপুরদুয়ার আসনে ভোটগ্রহণ করা হচ্ছে।

এবার লোকসভা নির্বাচনে কোচবিহারের দিকে নজর সকলেরই। কারণ, সেখানে তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে আসা নিশীথ প্রামাণিককে প্রার্থী করেছে বিজেপি। তৃণমূলের তরফে প্রার্থী করা হয়েছে ফরওয়ার্ড ব্লক ছেড়ে আসা পরেশচন্দ্র অধিকারীকে। এছাড়াও লড়াইয়ে রয়েছেন ফরওয়ার্ড ব্লকের গোবিন্দ রায় ও কংগ্রেসের পিয়া রায়চৌধুরী।

কোচবিহারে মোট বুথ ২০১০টি। তার মধ্যে স্পর্শকাতর বুথ সংখ্যা ১২৫৩। বাকি ৮৫৭টি বুথে ভোট হবে রাজ্য পুলিসের নিরাপত্তায়। কোচবিহারে মোট ৪৭ কোম্পানি বাহিনী মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এরমধ্যে বুথ পাহারায় থাকবে ৪৫ কোম্পানি।

কোচবিহারের ১টি ভোটকেন্দ্রে ২টি বুথ পর্যন্ত ৪ জন করে আধাসেনা মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ১টি ভোটকেন্দ্রে ২টির বেশি বুথ থাকলে মোতায়েন থাকবে ৮ জন করে আধাসেনা। বাকি ২ কোম্পানির মধ্যে ১ কোম্পানি আধাসেনা কুইক রেসপন্স টিমে কাজ করবে। আর ১ কোম্পানি বাহিনী স্ট্রংরুমের নিরাপত্তায় থাকবে।

অন্যদিকে, আলিপুরদুয়ারে সম্মুখসমরে তৃণমূল কংগ্রেস ও বিজেপি। তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে প্রার্থী হয়েছেন গতবারের সাংসদ দশরথ তিরকে। বিজেপির প্রার্থী জন বারলা। এছাড়াও লড়াইয়ে রয়েছেন আরএসপি ও কংগ্রেসের প্রার্থী।

আলিপুরদুয়ারে মোট বুথ ১৮৩৪টি। তারমধ্যে ১৮৩৪টি বুথের মধ্যে ৫৪৪টি বুথ স্পর্শকাতর হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। আলিপুরদুয়ারে মোট ২৭ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকবে মোট ৮১৪টি বুথে। ১০২০টি বুথে থাকছে না কেন্দ্রীয় বাহিনী।

কেন্দ্রীয় বাহিনী নেই, দুই জেলা মিলিয়ে এমন ৫৩৩টি বুথে ওয়েব কাস্টিংয়ের ব্য়বস্থা থাকছে। কমিশন আরও জানিয়েছে, মোবাইল নিয়ে বুথে ঢোকা যাবে না। ভোট করাতে গিয়ে কোনও ভোটকর্মীর মৃত্যু হলে নিয়ম অনুসারে ১০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে।

Developed by