ঝাড়গ্রাম নিউজ ফ্ল্যাশ ডেক্স:- এবার লোকসভা ভোটে ঝাড়গ্রাম জেলায় প্রতিটি বুথকে ঘিরে ‘ত্রিস্তরীয় বলয়’ গড়ছে জেলা বিজেপি। এজন্য ‘বুথরক্ষী বাহিনী’ ও ‘দুর্গা বাহিনী’ গঠন করেছে জেলা বিজেপি। দুর্গা বাহিনীর দায়িত্বে থাকবেন মহিলারা। জেলা বিজেপির দাবি, মানুষ যাতে সুষ্ঠভাবে ভোট দিতে পারেন সেজন্য এই বাহিনী গঠন করা হয়েছে। তৃণমূলের অভিযোগ, ভোটের সময় বিজেপি সন্ত্রাস চালানোর জন্য এসব পরিকল্পনা করেছে। যাতে মানুষ ভয়ে বুথ পর্যন্ত যেতে না পারেন। মানুষ মাওবাদী পর্বে রাত জেগে ভোট দিয়েছেন। এবারও নির্ভয়ে ভোট দেবেন। এসব করে কোনও লাভ হবে না। মানুষ উন্নয়নের উপর আস্থা রাখবেন। গত পঞ্চায়েত ভোটে বিজেপি ঝাড়গ্রাম জেলায় তুলনামূলকভাবে ভালো ফল করেছে। তারপরই বিজেপি ঝাড়গ্রাম লোকসভা কেন্দ্রটিকে টার্গেট করে পরিকল্পনা শুরু করে। শুধুমাত্র জেলা বিজেপি নয়, রাজ্য নেতৃত্ব ‘পাখির চোখ’ করেছে ঝাড়গ্রাম আসনটিকে। জেলা বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, বুথকে পাহারা দেওয়ার জন্য ত্রিস্তরীয় বলয় গড়েছে বিজেপি। বুথের মধ্যে একজন বুথ এজেন্ট থাকবেন। ওই বুথকে পাহারা দেওয়ার জন্য নির্বাচন কমিশনের নিয়ম অনুযায়ী দূরত্ব বজায় রেখে পরপর তিনটি বলয় তৈরি করবে বিজেপি। প্রথমে থাকছে বুথসুরক্ষা বাহিনী। সেই বাহিনীতে ৩০জন থাকবেন। তারপর থেকে একটু দূরে থাকবে দুর্গাবাহিনী। ৩০জন মহিলাকে নিয়ে দুর্গাবাহিনী গঠন করা হয়েছে। সবাই হাতজোড় করে থাকবেন। তারপর বিজেপির আরও ৩০জন থাকবেন। সব মিলিয়ে একটি বুথকে ঘিরে মোট ৯০জন পাহারায় থাকবেন।ঝাড়গ্রাম জেলায় মোট ১০৮৫টি বুথ রয়েছে। ঝাড়গ্রাম লোকসভায় ১৯৯৫টি বুথ রয়েছে। এই সমস্ত বুথেই এই ত্রিস্তরীয় বলয় থাকবে বলে বিজেপির দাবি। এরা সবাই বুথকে ঘিরে থাকবে। জেলা বিজেপির এক নেতার দাবি, পঞ্চায়েত ভোটে মানুষ বুথ পর্যন্ত পৌঁছতে পারেনি। বুথ পর্যন্ত মানুষকে পৌঁছতে এই ব্যবস্থা করা হয়েছে। জেলা বিজেপি নেতৃত্বের দাবি, তারা বুথের বাইরে কোনও জমায়েত করবে না। নির্বাচনের কমিশনের নিয়ম মেনেই তাদের বাহিনী থাকবে। এজন্য সমস্ত জায়গায় কমিটি তৈরি হয়ে গিয়েছে। বিজেপির জেলা সভাপতি সুখময় শতপথী বলেন, নির্বাচন কমিশনের নিয়ম মেনে বুথকে ঘিরে ত্রিস্তরীয় বলয় থাকবে। এজন্য আমাদের বুথরক্ষী বাহিনী ও দুর্গাবাহিনী তৈরি হয়ে গিয়েছে। এখন মহড়া চলছে। তিনি বলেন, এই লোকসভা কেন্দ্রে তৃণমূল সাংগঠনিক ও মানসিকভাবে হেরে গিয়েছে। গতবার তৃণমূল যা লিড দিয়েছিল, তার থেকে আমরা বেশি লিড দেব এবার। সমস্ত বুথে বিজেপির বুথ এজেন্ট থাকবে।ঝাড়গ্রাম জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যান সুকুমার হাঁসদা বলেন, মানুষ নিজের ভোট নিজে দেবে। বাহিনী গড়ে কোনও লাভ হবে না। মানুষ শুধুমাত্র উন্নয়ন ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জানে।