ঝাড়গ্রাম নিউজ ফ্ল্যাশ ডেস্ক : বিয়ে হয়েছে প্রায় বছর খানেক। কিন্তু বিবাদ যেন কিছুতেই মিটছে না। বিয়ের সময় নগদ টাকা গহনা সব দেওয়া হয়েছিল।কিন্তু তারপরেও দাবী আর থামে না। কখনো টাকা বা কখনো ফ্ল্যাট কিনে দেওয়ার দাবী স্বামীর। আর তা নিয়েই অশান্তি।কয়েকবার আলোচনা বসার পরেও সমাধান হয়নি।কয়েক মাস ধরে কলকাতায় ছিল। দুদিন হয়েছে দেশের বাড়ী ফিরেছে। তারপর শুক্রবার মেয়ের বাপের বাড়ীর লোক মেয়ের সঙ্গে দেখা করতে আসতেই আবার ঝামেলা। মেয়ের বাড়ীর লোক থানা পৌছনোর আগেই খবর এলো মেয়ে আর নেই।মাত্র ৩০ মিনিট আগে যাকে জলজ্যান্ত দেখলো ৩০ মিনিট পর তার মৃত্যুর খবর শুনতে হবে,এমনটা ভাবতেই পারেনি কেউ। কিছুক্ষনের মধ্যেই পুরো পরিবেশটা পরিবর্তন হয়ে গেলো। মেয়েকে হারাতে হোল তার বাবাকে। এমনই একটি নজির বিহীন ঘটনার ছবি উঠে এলো পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ডেবরা ব্লকের ৩ নং সত্যপুর অঞ্চলের ভাইনগর গ্রামে। এক বছর আগে ডেবরার চককুমার গ্রামে গোলাম মুস্তাফার মেয়ে মেহেবুবা খাতুনকে ভাইনগর গ্রামের বাসিন্দা নিসাত পারভেজের সঙ্গে বিয়ে দেয়। বিভিন্ন সময়ে দাবীদাবা ও অশান্তির জেরে কলকাতায় থাকতো দম্পত্তি। তারপর শুক্রবারে এই ঘটনা। মৃতের বাবা জানান সব সময় আমার মেয়েকে এই ভাবে নির্যাতন করতো। শুক্রবার আমরা দেখা করতে গেলে আমাদেরকে ধাক্কা দিয়ে বাইরে বের করিয়ে দেয়। তারপর থানা আসার আগেই শুনি মেয়ে মারা গেছে।ওরা চক্রান্ত করে আমার মেয়েকে খুন করে ঝুলিয়ে দিয়েছে। তারপর আমি ডেবরা থানায় খুন করে ঝুলিয়ে দেওয়ার অভিযোগ দায়ের করি। অপরদিকে অভিযোগ পাওয়ার পরেই ডেবরা থানার পুলিশ মৃতের স্বামী সহ বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করে।