ঝাড়গ্রাম নিউজ ফ্ল্যাশ ডেক্স:-গতকাল কেন্দ্রীয় বিজেপির তরফ থেকে প্রথম দফায় প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেছে। প্রার্থী তালিকায় স্থান পেয়েছেন একসময়ের বীরভূমের দন্ড প্রতাপ বিজেপি নেতা দুধ কুমার মন্ডল। তিনি এ বছরে লোকসভা নির্বাচনে বীরভূম লোকসভা কেন্দ্র থেকে লড়াইয়ে নামলেন।
প্রার্থী তালিকায় নিজের নাম ঘোষণার পরই প্রচারে তোড়জোড় লাগিয়ে দেন দুধ কুমার মন্ডল। সকাল থেকেই বীরভূম জেলা কার্যালয় মোদির ছবিতে প্রণাম করে শুরু করলেন প্রচার। দুধকুমার মন্ডল জানান, “রাজ্য এবং কেন্দ্রীয় কার্যকর তাদের কাছে আমি কৃতজ্ঞ আমাকে বীরভূম লোকসভা কেন্দ্রে লড়াইয়ের জন্য প্রার্থী হিসেবে বেছে নেওয়ায়।”
এবছরের লোকসভা নির্বাচনের বীরভূম লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী দুধ কুমার মন্ডলের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট খুবই আলোচ্য। একসময় তিনি জেলা বিজেপির সভাপতি থাকলেও পরবর্তীতে তিনি রাজনীতিতে থেকে এক প্রকার দূরেই সরে গিয়েছিলেন। তারপর আবার ধীরে ধীরে প্রত্যাবর্তন, আর শেষমেষ বিজেপি লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী। প্রার্থী হিসেবে প্রচারে নেমেই তিনি আজ বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের ভোটের আগে নানান দাওয়াইয়ের কটাক্ষ করে বলেন, “সাধারণ মানুষই তাঁর এসব নানান টোটকা (নকুলদানা – জল, পাঁচন)র জবাব দিয়ে দেবেন। আমরা চাই সাধারণ মানুষ তাদের গণতান্ত্রিক অধিকার ফিরে পাক।”
তিনি আরো বলেন, “বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল বারবার এই সব যে দাওয়াই দিয়ে মানুষের মধ্যে ভীতির সৃষ্টি করেছেন তার জবাব এবছর মানুষ দেবে।”
এরাজ্যে বিজেপি যখন টিমটিম করে তার অস্তিত্ব ধরে রেখেছিল তখন থেকেই প্রবল পরাক্রমি সিপিএম -এর সঙ্গে লড়াই করে পঞ্চায়েতে একাধিকবার জয়ী হয়েছেন দুধ কুমার। এমনকি শেষ পঞ্চায়েত নির্বাচনেও তৃণমূলের স্বর্গরাজ্যের আমলেও কিন্তু তিনি নিজের জায়গায় জয়লাভ করে দখল করে রেখেছিলেন। যখন দল এলো আলোচনার কেন্দ্রে তখন বীরভূম জেলা সভাপতি ছিলেন তিনি। তখন জেলার তৃণমূল নেতা অনুব্রত মন্ডলের চোখে চোখ রেখে রাজনীতি করছিলেন তিনি, চাঙ্গা রেখেছিলেন কর্মীদের।
এরপরই প্রশ্ন ওঠে দুধ কুমার মন্ডলের কেন্দ্রে শতাব্দী রায় গত ১০ বছরের সাংসদ। সেখানে দুধ কুমার মন্ডলের পক্ষে লড়াইটা কতটা কঠিন হবে। এই প্রশ্নের উত্তরে দুধ কুমার মণ্ডল জানান, “এই বছর শতাব্দী রায় নিশ্চিত ভাবে এই সিটে হারবেন, এখানে বিজেপি বিপুল ভোটে জয়লাভ করবে। একথা আমি জোরের সাথে বলছি। শতাব্দী বছর এই কেন্দ্রে নিশ্চিহ্ন হতে চলেছেন। আর বিপুল ভোটে জয় লাভের পর আগামী ২৩শে মে আবার নতুন করে জেতার আনন্দে আবীর খেলায় মাতবো আমরা।” এছাড়াও তিনি এ দিন শতাব্দি রায়কে কটাক্ষ করে বলেন, “শতাব্দী রায় হলো বীরভূমের মরসুমি পাখি। শতাব্দী রায় এখান থেকে ভোট নিয়ে জিতে চলে যান, তারপর আর সেভাবে দেখা মেলে না।” পাশাপাশি অনুব্রত মণ্ডল প্রসঙ্গে তিনি জানান দল একটা বড় জায়গা দিয়েছে যোগ্যতা নেই সেই জায়গা রক্ষা করার।