নিউজ ফ্ল্যাশ ডেক্স:- আজকের ভারত আগের ভারত থেকে অনেকতটাই আলাদা। আগের ভারত ২৬/১১ ঘটনা ঘটার পরে পাকিস্থানকে প্রমান দিত। আজকের ভারত উরি, পুলবামা হামলার পর পাকিস্থানে ঢুকে মেরে আসে। আজকের ভারত শক্তিশালী ভারত যা কট্টরপন্থী, আতঙ্কবাদের জন্য যমের মতো কাজ করে। ভারত আর শত্রু দেশের সাথে প্রমান-প্রমান খেলে না বরং শত্রুকে তার মতো করেই জবাব দেয়।
আর এটা একটা বাস্তবিক সত্য যে, সন্মান সেই পায় যে শক্তিশালী হয়। যে দুর্বল তাকে কেউ পাত্তা দেয় না, শক্তিশালীকে সকলেই গুরুত্ব দেয়, সন্মান দেয়। ভারত একসময় বিশ্বগুরু ছিল কিন্তু মুঘল শাসন, ইংরেজ শাসন এবং তারপর সেকুলার সরকারের শাসনের জন্য ভারত দুর্বল দেশে পরিণত হয়েছিল। তবে বর্তমানের নতুন ভারত আবার শক্তিশালী হয়ে উঠেছে। আজ আবার ভারত বিশ্বে নিজের প্রভাব বিস্তার করতে শুরু করেছে। ভারতের প্রভাব কিভাবে বৃদ্ধি হয়েছে সেটা আজকে চীনের বিদেশমন্ত্রীর মন্তব্য থেকেই স্পষ্ট আন্দাজ করা যাচ্ছে।
চীনের বিদেশমন্ত্রী বেজিংয়ে বলেছেন- চীন ও ভারতের উচিত একে অপরের পার্টনার হওয়া, তবেই আমরা সপ্ন পূরণ করতে পারবো। ওয়াং ই বলেন চীন ও ভারর মিলে এশিয়া এবং পুরো বিশ্বকে বদলাতে পারবে। এটা আমাদের একোনোমির জন্য খুবই প্রয়োজনীয়। মূলত চীন এবার ভারতের সাথে সম্পর্ক দৃঢ় করতে চাইছে।
চীন ভারতের প্রতি তাদের নীতি বদলে নিয়েছে এবং নতুন নীতি প্রয়োগ করার জন্য লেগে পড়েছে। চীন স্পষ্ট বুঝতে পেরেছে যে ভারত আর দুর্বল দেশ নেই। ভারত এখন আক্রমক ও শক্তিশালী দেশ। তাই চীন ভারতের সাথে আর শত্রু ঘেঁষা দেশ হিসেবে থাকতে রাজি নয়। চীন এবার ভারতের সাথে পার্টনারশিপ করতে চাই এবং ভারতকে মিত্রদেশ করতে চাই।