নিউজ ফ্ল্যশ ডেক্স:- নিকুচি মেরেছে দেশপ্রেম আর নিকুচি করেছে পাকিস্তান , শত্রু আসলে দলের লোক আর শত্রু ক্ষমতা । তাই সব কিছু ভুলে গিয়ে এ ওকে লাথি মারে, আর ও তাকে জুতো ।দু’দিন পরে ভোট। যে সে ভোট নয়! এক্কেবারে দিল্লির মসনদ দখলের ভোট। দ্বিতীয়বার তখত দখলের জন্য মরিয়া নরেন্দ্র মোদী, অমিত শাহরা। আর তাঁর দলেরই বিধায়ক,
সাংসদ জুতোপেটা করলেন একে অন্যকে। খোদ পার্টি অফিসে। সামাল দিতে নাকানিচোবানি খেতে হল পুলিশকে।
ঘটনাস্থল উত্তরপ্রদেশের কবীর নগরের বিজেপি কার্যালয়। দিব্যি চলছিল গোল টেবিল বৈঠক। কিন্তু তার মধ্যেই বচসায় জড়িয়ে পড়েন সাংসদ শরদ ত্রিপাঠী এবং বিধায়ক রাকেশ সিং। সংবাদ সংস্থা এএনআই জানাচ্ছে, বৈঠকের মাঝে সাংসদ রেগে যান বিধায়কের উপর। কারণ কী? জানা গিয়েছে কোনও একটি প্রকল্পের ফলকে সাংসদের নাম বাদ দিয়ে নিজের নাম খোদাই করে দিয়েছেন বিধায়ক।একটি ভিডিও ফুটেজও সামনে এসেছে। যেখানে দেখা যাচ্ছে, সাংসদ ত্রিপাঠী প্রচণ্ড ক্ষুব্ধ হয়ে কথা বলতে বলতেই পায়ের জুতো হাতে তুলে নেন। তারপর সেই জুতো দিয়ে পেটাতে থাকেন বিধায়ককে। পেটানো মানে একেবারে দুমাদুম। প্রায় এক নিঃশ্বাসে জুতো দিয়ে ডজন খানেক বাড়ি দিয়ে দেন দলেরই বিধায়ককে। বিধায়ক ছিলেন সাংসদের থেকে একটা চেয়ার পরে। হাত বাড়িয়ে জুতো পেটা করতে থাকেন তিনি।
বৈঠকে উপস্থিত বাকি নেতারা ব্যাপারটা বুঝে ওঠার আগেই এই কাণ্ড শুরু হয়ে যায়। সাংসদ মারবেন আর বিধায়ক চুপচাপ হজম করবেন তা আবার হয় নাকি। চেয়ার ছেড়ে উঠে পড়েন বিধায়ক রাকেশ সিং। পাল্টা ঘুষি পাকিয়ে তেড়ে যান সাংসদের দিকে। তিন-চারবার চালিয়েও দেন তারপর মাঝে এসে পরে পুলিশ। কোনওক্রমে থামানো হয় দুই জনপ্রতিনিধিকে।সব মিলিয়ে খোলসা হয়ে গেল বিজেপির আসল দেশপ্রেম যা কিনা ক্ষমতা দখলেই সীমাবদ্ধ ।