নিউজ ফ্ল্যাশ ডেক্স:- গোয়েন্দা চরিত্রে একাধিক রহস্যের সমাধান করেছেন তিনি। এবার ভোট যুদ্ধে বাম রহস্যের সমাধান করতে কোমর বেঁধে নেমে পড়লেন “ফেলুদা”।
১৯এর লোকসভা নির্বাচনে চমক দিতে চাইছে বাম শিবির। সূত্রের খবর, এবার দক্ষিণ কলকাতায় প্রার্থী হতে পারেন সব্যসাচী চক্রবর্ত্তী ওরফে ‘বেণুদা’।
দীর্ঘ ৩৪ বছর বাম রাজত্বের অবসান ঘটিয়ে রাজ্যের ক্ষমতায় আসে তৃণমূল। তারপর থেকেই এ রাজ্যে নিজেদের অস্তিত্ব সংকটে পড়ে বামেরা।
গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে রাজ্যে সেভাবে ছাপ ফেলতে পারেনি বাম সংগঠন। অন্যদিকে সংগঠন বাড়াতে শুরু করেছে গেরুয়া শিবির। এক সময় তৃণমূলের সেকেন্ড-ইন-কম্যান্ড মুকুল রায়ের হাত ধরেই রাজ্যে প্রভাব বিস্তার করতে শুরু করেছে তারা।
এসবের মাঝেই নিজেদের অস্তিস্ত্ব ফেরাতে মরিয়া হয়ে উঠেছে বাম শিবির। তাই একের পর এক নতুন স্ট্র্যাটেজির প্রণয়ন করছে বামেরা।
সারা রাজ্যের দক্ষিণপন্থীদের গড় হিসাবে পরিচিত দক্ষিণ কলকাতা। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উত্থানও এই দক্ষিণ কলকাতা থেকেই। এখনও একইভাবে দাপট বজায় রেখে চলেছে দক্ষিণপন্থীরা।
২০১১ সালে ক্ষমতায় আসার পর বিধায়ক ছিলেন না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই দলনেত্রীকে বিধায়ক পদ ছেড়ে দেন তৎকালীন পূর্তমন্ত্রী সুব্রত বক্সি। পরে অবশ্য দক্ষিণ কলকাতা লোকসভা কেন্দ্র থেকে উপনির্বাচনে জয়লাভ করেন সুব্রত বক্সি।
গত লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসের হয়ে ৪,৩১,৭১৫ ভোট পান সুব্রত বক্সি। ওই কেন্দ্রে দ্বিতীয় স্থানে ছিলেন বিজেপির তথাগত রায়। প্রাপ্ত ভোট ২,৯৫,৩৭৬। তৃতীয় স্থানে ছিলেন সিপিআই(এম) এর নন্দিনী মুখার্জী। ২,৭৯,৪১৪ ভোট পেয়েছিলেন তিনি।
তৃণমূল সূত্রের খবর, আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে ভবানিপুর লোকসভা কেন্দ্র থেকে প্রার্থীপদে অনিচ্ছা প্রকাশ করেছেন দলের সাধারণ সম্পাদক সুব্রত বক্সি। ইতিমধ্যে ২০১৪ এর বিধানসভা নির্বাচন এবং পুরভোটে বিজেপির ফলাফল চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে ঘাস ফুল শিবিরে।
অন্যদিকে এই ঘোর সংকটের মুহূর্তে ফুলের বাগানে কাস্তে চালাতে কতটা সক্ষম হবেন বামেরা। সেটা এখন দেখার।