নিউজ ফ্ল্যাশ ডেক্স:- মাসুদ আজহার অর্থাৎ জইস-ই-মহম্মদ প্রধানকে ২৬ শে ফেব্রুয়ারি ভারতীয় সেনা শেষ করে দিয়েছিল। ভারতীয় বায়ুসেনা বালাকোটের আতঙ্কবাদী ক্যাম্পের উপর স্ট্রাইক করে জইস-ই-মহম্মদকে শেষ করে দিয়েছিল। ২৬ তারিখ ভোর ৩.৩০ এর সময় মাসুদ আজহার শেষ হয়ে গেছিল। যদিও পাকিস্থানের সরকার খবরটি ধামাচাপা দেওয়ার জন্য লেগে পড়েছিল। পাক সরকার খবরটিও ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছিল কারণ খবর প্রকাশিত হলে পাকিস্থানের বাকি আতঙ্কবাদীদের মধ্যে যে পরিবেশ সৃষ্টি হবে সেটা সরকারকে অস্থির করে তুলতে পারে।
পাকিস্থান মাসুদের খবর গোপন করার জন্য বলেছিল যে সে অসুস্থ রয়েছে। শুধু এই নয় এখন খবর আসছে যে মাসুদ কিডনির রোগে রাওয়ালপিণ্ডের হাসপাতালে মারা গেছে। কিন্তু আসলে মাসুদ ২৬ শে ফেব্রুয়ারি এয়ার স্ট্রাইকে মারা গেছে। তবে এখন পাকিস্থান থেকে যে খবর আসছে তা বেশ লক্ষণীয়। খবর পাওয়া যাচ্ছে যে পাকিস্থানের টপ আতঙ্কবাদীরা লুকিয়ে পড়েছে। হাফিজ সাঈদ সহ টপ আতঙ্কবাদীরা আন্ডারগ্রাউন্ড হয়ে গেছে।
ভারতীয় সেনা আবার স্ট্রাইক করে তাদের শেষ করে দিতে পারে, এই ভয়ে হাফিজ সাঈদের মতো মুখ্য জিহাদীরা লুকিয়ে পড়েছে। ২৭ শে ফেব্রুয়ারির পর থেকে হাফিজ সাঈদ আন্ডারগ্রাউন্ড হয়ে গেছে। বলা হচ্ছে যে হাফিজ সাঈদ লাহোরে রয়েছে, যদিও সেটা মিথ্যা রটানো হচ্ছে। ভারতের নৌসেনা পাকিস্থানকে দক্ষিণ দিকে থেকে ঘিরে রেখেছে, এই খবর আতঙ্কবাদীদের কাছে পৌঁছা মাত্র টপ আতঙ্কবাদী নেতারা লুকিয়ে পড়েছে।
পাকিস্থানের শীর্ষ আতঙ্কবাদীদের মধ্যে ভারতীয় সেনা ও মোদীর ভয় ঢুকে গেছে। হাফিজ সাঈদ মনে করছে যে ভারত আবার স্ট্রাইক করে তাকে মেরে ফেলতে পারে। নরেন্দ্র মোদী পাকিস্থানকে এইবার ঐতিহাসিক শিক্ষা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন এবং এর জন্য উনি ভারতীয় বায়ুসেনাকে স্ট্রাইক করার জন্য গ্রীন সিগন্যাল দিয়েছিলেন। বায়ুসেনা অতি দক্ষতার সাথে তাদের কাজ করে দিয়েছে এবং এখন পাকিস্থানের শীর্ষ আতঙ্কবাদীরা ভয়ে লুকিয়ে বেড়াতে শুরু করেছে।