কোলকাতা
কন্যাশ্রীর সাফল্যের পর বাংলার মুকুটে নয়া পালক। রাষ্ট্রসংঘের তরফে আরও এক স্বীকৃতি পেল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘উৎকর্ষ বাংলা’ প্রকল্প। সমগ্র বিশ্বের সেরা পাঁচ প্রকল্পের মধ্যেই জায়গা করে নিয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর এই প্রকল্প। বাংলার তরুণ প্রজন্মকে কাজের উপযোগী করে তোলার জন্যই এই প্রকল্প চালু করার পরিকল্পনা নিয়েছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
রাষ্ট্রসংঘের সহযোগী সংস্থা দ্য ওয়ার্ল্ড সামিট অন দ্য ইনফর্মেশন সোসাইটি সমস্ত দেশের প্রকল্পগুলির মধ্যে সেরার শিরোপা দেওয়ার জন্য একটি প্রতিযোগীতার আয়োজন করা হয়েছিল। জানা গিয়েছে সেই প্রতিযোগীতায় মোট ১০৬২ টি প্রকল্পের নাম জমা পড়েছিল। আর সেখানেই বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর চালু করা প্রকল্প ‘উৎকর্ষ বাংলা’ প্রকল্পটির জন্য ২০ লক্ষের বেশি ভোট পড়েছে। চূড়ান্ত প্রতিযোগিতায় স্থান পেয়েছিল ১৪৩টি প্রকল্প। সেই ভোট দান থেকেই সাফল্যের প্রকল্পগুলিকে বেছে নেওয়া হয়েছে। প্রথম পাঁচে স্থান পেয়েছ ‘উৎকর্ষ বাংলা’। আগামী ৯ এপ্রিল এই প্রতিযোগীতায় বিজয়ীর নাম ঘোষণা করা হবে। বছর তিনেক আগে রাজ্যের কর্মহীন যুবকদের প্রযুক্তিগতভাবে দক্ষ এবং তাদের কাজের উপযোগী করে তোলার জন্যই এই প্রকল্প চালু করা হয়েছিল।
রাজ্যের অন্যন্য সব প্রকল্পের মত মুখ্যমন্ত্রীই এই প্রকল্পের নামকরণ করেছিলেন। এখন শুধু দেখার অপেক্ষা আরও একবার ‘দিদি’র এই প্রকল্প ভারতসভায় শেষ্ঠ আসন পায় কিনা। সব মিলিয়ে ২৩ টি পেশার ওপর প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করে কারিগরি শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ দফতর। প্রকল্পের সফল রূপায়ণের জন্য গোড়ে তোলা হয়েছিল ওয়েস্টবেঙ্গল স্কিল ডেভেলপমেন্ট সোসাইটি। প্রকল্পের সুবিধা এখন পাওয়া যায় ব্লক পর্যায়ে। এখনও পর্যন্ত প্রায় সাড়ে চারলক্ষ মানুষ এই প্রকল্পে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে বলে সূত্রের খবর। প্রসঙ্গত, বাংলার মুখ্যমন্ত্রী অর্থনৈতিকভাবে পিছিয়ে থাকা পরিবারকে নগদ সহায়তার মাধ্যমে মেয়েদের জীবন ও অবস্থার উন্নয়নের জন্য ‘কন্যাশ্রী’ প্রকল্প চালু করেছিলেন। সেই কন্যাশ্রী প্রকল্প রাষ্ট্রসংঘে ‘বিশ্বসেরা’র শিরোপা পায় ২০১৭ সালে।