ঝাড়গ্রাম নিউজ ফ্ল্যাশ ডেস্ক, কলকাতা:
পুলিশ কমিশনের বাড়িতে সিবিআই-এর একটি বিশেষ প্রতিনিধি দল। দলটিতে ছিলেন ৫০ জন সিবিআই আধিকারিক। তাঁদের মধ্যে একজন মহিলা আধিকারিকও ছিলেন। সিবিআই আসতে পারে এই খবর আগে থেকেই জানায় তাঁর বাড়ির সামনে মোতায়েন ছিল বিশাল পুলিশ বাহিনী। পুলিশ জানায়, আগে থেকে অনুমতি না নিয়ে এইভাবে নগরপালের বাংলোয় ঢোকা বা তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ সম্ভব নয়। তাই সেক্সপিয়ার সরণী থানায় সিবিআই যায় অনুমতির জন্য। এই প্রেক্ষিতে সিবিআই আধিকারিক ও পুলিশের ধ্বস্তাধস্তি হয়। সব সিবিআই আধিকারিককে আটক করে পুলিশ। তাদের সকলকে শেক্সপীয়র সরণী থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। খবর পেয়েই পুলিশ কমিশনারের বাড়িতে আসেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পরে সাংবাদিক বৈঠক করে এই ইস্যুতে তীব্রভাবে ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি।
কমিশনারের বাড়িতে সিবিআই হানা প্রসঙ্গে শুরুতেই তিনি বিজেপি সরকারকে তোপ দাগেন। তিনি বলেন, বাংলায় অভ্যুত্থানের চেষ্টা করছে মোদী সরকার। ১৯-এর ব্রিগেডের পর নরেন্দ্র মোদী সিবিআইকে নির্দেশ দিয়েছেন বাংলায় কিছু করার জন্য, তাই করছে সিবিআই। বিজেপি যা করছে গায়ের জোরে করছে বলে তোপ দাগেন তিনি। আরও বলেন, মোদী এবং অজিত ডোভালকে সিবিআইকে কাজে লাগিয়েই সংবিধান নষ্টের চেষ্টা করছে। এর প্রতিবাদে সংবিধান বাঁচাতে মেট্রো চ্যানেলে ধর্নার বসার কথা জানান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে আরও বলেন, কোনও ওয়ারেন্ট ছাড়াই পুলিশ কমিশনারের বাড়িতে চলে আসছে সিবিআই, এটা কনস্টিটিউশনাল ব্রেক ডাউন ছাড়া কিছু নয়। এটা সংবিধানের উপর আঘাত। পরিস্থিতি জরুরি অবস্থার থেকেও ভয়াবহ। তিনি আরও বলেন, সুদীপ-তাপসকে জেলে রেখে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু বিজেপির কারওর বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। বাবুল সুপ্রিয়, লকেটের নাম করে সরাসরি তোপ দাগেন তিনি। তাঁর বক্তব্য, আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত সব তথ্য কেন তুলে দিতে হবে, তিনিও একটা প্রশাসন চালান। এর প্রতিবাদে অনির্দিষ্টকালের ধর্না। কলকাতার পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমারের বাসভবনের সামনে সাংবাদিক বৈঠকে বললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ইতিমধ্যেই ধর্নায় বসেছেন মুখ্যমন্ত্রী, সঙ্গে রয়েছেন মেয়র ফিরহাদ ববি হাকিম, অরূপ বিশ্বাস সহ তৃণমূল কর্মী সমর্থকরা। খবর, সমস্ত প্রশাসনিক কাজ মুখ্যমন্ত্রী এখান থেকেই করবেন। অন্যদিকে, সিজিও কমপেক্সে হাজির হয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনী।