জামিতুল ইসলাম, কোলকাতা
আক্ষরিক অর্থেই ‘ইউনাইটেড ইন্ডিয়া’। কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারী, গুজরাত থেকে অরুণাচল প্রদেশ— ব্রিগেডের মঞ্চে নানা ভাষা, নানা মত, নানা পরিধান। কিন্তু বার্তা এক ‘মোদি হটাও দেশ বাঁচাও’। শরদ পওয়ার থেকে ফারুক আবদুল্লা, যশবন্ত সিন্হা থেকে অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি- সবার বক্তব্যেই মোদির বিরুদ্ধে অপশাসনের অভিযোগ।
গুজরাতে বিজেপি সরকারকে রীতিমতো চাপে ফেলে দিয়েছিলেন হার্দিক প্যাটেল। তাঁকেই এদিনের সমাবেশের প্রথম বক্তা করেন মমতা। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী দেবেগৌড়া, ফারুক আবদুল্লা, শরদ পাওয়ারদের মত বর্ষীয়ান রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের পাশে হার্দিক প্যাটেল বা জিগ্নেশ মেভানি নিতান্তই নবীন। তবু, সমাজের সবস্তরের প্রতিনিধিত্ব রাখতেই বিজেপি বিরোধী যেকোনও বয়সের লোকেদেরই প্রধান্য দিয়েছেন তৃমমূল নেত্রী। এদিনের সভা মঞ্চে সেই ছাপ স্পষ্ট। গত সাড়ে চার বছর ধরে প্রধানমন্ত্রী দেশবাসীকে মিথ্যে প্রতিশ্রুতি দিয়ে যাচ্ছেন। দক্ষিণের এম কে স্তালিন থেকে উত্তরে ফারুক আবদুল্লার কথায় একই সুর।
উত্তর পূর্বারঞ্চলের নেতা, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীদের বক্তব্যে বঞ্চনার পাশাপাশি উঠেছে এনআরসি প্রসঙ্গ। একই সঙ্গে ফারুল আবদুল্লার বক্তব্য এলো কাশ্মীর প্রসঙ্গ। সেখানে বেড়াতে যেত সবাইকে আহ্বান জানিয়ে কাশ্মীরকে ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ বলে উল্লেখ করলেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী।
ফেডেরাল ফ্রন্ট ক্ষমতায় কৃষকদের আত্মহত্যা কমবে বলে আশা হেমন্ত সোরেনের মতো নেতাদের। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলার অগ্নিকন্যা, লৌহমানবী— মুক্ত কণ্ঠে ঘোষণা আসমুদ্র হিমাচলের নেতাদের। শনিবার ব্রিগেডে ২০১৯-এর নির্বাচনের প্রথম ঘণ্টাটাই এই সমাবেশ থেকে বাজিয়ে দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।