বিধানসভায় বিবাদের জের এবার জেলা রাজনীতিতেও। বিএসএফকে নিয়ে মন্তব্যের জেরে বিধানসভায় তৃণমূল বিধায়ক উদয়ন গুহ এবং বিজেপি বিধায়ক মিহির গোস্বামীর বাদানুবাদের ঘটনা ইতিমধ্যেই সংবাদ মাধ্যমের শিরোনামে উঠে এসেছে। বিধানসভা থেকে জেলায় ফিরেছেন দুই প্রবীণ নেতা। আর জেলাতে ফিরেও তাঁদের সেই বক্তব্য পাল্টা বক্তব্য অব্যাহত রয়েছে।
আজ দলের জেলা সভানেত্রী তথা তুফানগঞ্জের বিধায়িকা মালতি রাভাকে সাথে নিয়ে দিনহাটায় যান নাটাবাড়ির বিজেপি বিধায়ক মিহির গোস্বামী। সেখানে দলীয় নেতা অশোক মণ্ডলের বাড়িতে আসন্ন পুরসভা নির্বাচনের রূপরেখা তৈরি করতে একটি বৈঠক ওই দুই বিধায়ক। অশোক মণ্ডলের বাড়িতে বসেই মিহির বাবু বলেন, “আমরা দিনহাটায় এসেছি। কোন চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করতে নয়। দিনহাটার বিধায়ক উদয়ন বাবু পবিত্র বিধানসভায় দাঁড়িয়ে যেভাবে সীমান্ত সুরক্ষা বাহিনীকে আক্রমণ করেছেন। আমি তাঁর তীব্র প্রতিবাদ করেছিলাম। আমি পয়েন্ট অফ অর্ডার করেছিলাম। কিন্তু স্পিকার একপেশে সিধান্ত নিয়ে আমাদের এলাও করেনি। আর তখন আমাদের সমস্ত বিধায়করা প্রতিবাদ করে। তখন উদয়ন বাবু, যিনি মানবাধিকার কমিশনের রিপোর্টে ভোট সন্ত্রাসের নায়ক, তিনি আমাকে দিনহাটায় এলে পা ভেঙ্গে দেওয়ার হুমকি দেন। দিনহাটা কারো পৈতৃক সম্পত্তি নয়। দিনহাটার মানুষ গণতন্ত্র প্রিয়। সেই জায়গায় আমরা সব সময় আসি, আজো এসেছি। কোন চ্যালঞ্জের মোকাবিলা করতে নয়।”
অন্যদিকে এদিন দলিয় একটি বৈঠকে দিনহাটা থেকে কোচবিহারে আসেন উদয়ন বাবু। তিনি মিহির বাবুর বক্তব্যের প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে বলেন, “আমি কোন চ্যালঞ্জ ছুড়ে দেই নি। আমার নিজের হাত ভাঙা। বিজেপি আমার হাত ভেঙ্গে দিয়েছে। আমি এই ভাঙা হাতে কি করে কারো পা ভাঙবো। আমাকে দিয়ে বলানোর চেষ্টা হচ্ছে আমি ওঁর পা ভেঙ্গে দিতে চেয়েছি। যার মুখে চিনি দিলে মরে যাবে, তাঁকে বিষ দেওয়ার কি প্রয়োজন আছে? বিজেপির অবস্থা এমনি খারাপ। এমনি পা ভেঙ্গে গেছে, আবার তাঁর পা ভাঙ্গার কোন দরকার আছে?”
অন্যদিকে তৃণমূল কংগ্রেসের কোচবিহার জেলা সভাপতি এবিষয়ে মন্তব্য এড়িয়ে গেলেও বিজেপির জেলা সভানেত্রী মালতি রাভা কিন্তু নাম না করে গতকাল প্রাক্তন মন্ত্রী তথা বর্ষীয়ান তৃণমূল নেতা রবীন্দ্রনাথ ঘোষের তুফানগঞ্জের ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত এলাকায় একটি পূজার অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়ে বিএসএফ জওয়ানদের সাথে কথা বলতে দেখা যাওয়ার প্রসঙ্গ তুলে ধরে বলেন, “তাঁদের দলের এক বিধায়ক যখন বিএসএফকে আক্রমণ করে কথা বলছেন, তখন তাঁদের দলেরই প্রাক্তন এক মন্ত্রী বিএসএফের সাথে বসে সম্মান জানিয়ে এসেছেন। এতেই পরিষ্কার ওনার বক্তব্য ওনার দলের নেতারাই মান্যতা দেয় না। ”
কেন্দ্রীয় সরকার সম্প্রতি বিএসএফের এলাকা বাড়িয়ে সীমান্ত এলাকার ৮ কিলোমিটার থেকে ৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত করেছে। এর বিরুদ্ধে এরাজ্যের বিধানসভায় কেন্দ্রীয় সিধান্তের বিরোধিতা করা হয়। সেখানেই সীমান্ত এলাকার মানুষের উপড়ে বিএসএফ অত্যাচার করছে বলে অভিযোগ করে বক্তব্য রাখেন তৃণমূল বিধায়ক উদয়ন গুহ। ওই বক্তব্য নিয়ে বিজেপি বিধায়ক মিহির গোস্বামী প্রতিবাদ জানালে দুজনের মধ্যে বাদানুবাদ শুরু হয়। বিজেপি বিধায়কের অভিযোগ, তখনই তাঁকে দিনহাটায় গেলে পা ভেঙ্গে দেওয়া হবে বলে উদয়ন বাবু হুমকি দিয়েছেন।
অরূপ কুমার মাজী, জেএনএফ, সরডিহা : বন্ধুদের সাথে স্নান করতে নেমে কংসাবতী নদীর জলে তলিয়ে গেল এক যুবক। ঘটনাটি ঘটেছে…
দুই বছরেরও বেশি সময় পরে বীরভূমে ফিরলেন অনুব্রত মণ্ডল। প্রথমে আসানসোল সংশোধনাগারে এবং তার পর প্রায় দেড় বছর দিল্লিতে তিহাড়…
করিনার সৌন্দর্যে প্রথম থেকেই মুগ্ধ ছিলেন পরিচালক। ‘হম দিল দে চুকে সনম’ ছবির জন্য তাঁর প্রথম পছন্দ ছিলেন করিনাই। কিন্তু…
আরজি কর-কাণ্ডের প্রতিবাদ মিছিলে কচিকাঁচা পড়ুয়ারা পা মেলিয়েছে কেন? এই প্রশ্ন তুলে রাজ্যের বেশ কয়েকটি স্কুলকে শোকজ় নোটিস পাঠিয়েছে শিক্ষা…
জেএনএফ, চুবকা : অবৈধভাবে বালি মজুত করার অভিযোগ পেয়ে ঝাড়গ্রাম ব্লকের শুকজোড়া এলাকায় মানিকপাড়া বিট হাউসের পুলিশকে সাথে নিয়ে হানা…