জিটিএ নির্বাচন নিয়ে রাজ্য সরকারকে বিধঁলেন বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ

আগামী ৩০ শে অক্টোবর বাংলার চার জেলায় চারটি উপনির্বাচন। আর তার মধ্যে একটি আসন হল দিনহাটা। এই বিধানসভায় ২১ এর নির্বাচনে শাসক দলকে মাত্র ৫৭ ভোটে হারিয়ে জয়ী হয়েছেন সাংসদ নিশীথ প্রামাণিক। যদিও ওই জয় নিয়ে ছিল নানা বিতর্ক। কিন্তু মমতা বন্ধ্যোপাধ্যায় তৃতীয়বার শপথ বাক্য পাঠ করে মুখ্যমন্ত্রী হন। তারপর রাজ্যের সমস্ত বিধায়ক শপথ বাক্য পাঠ নিলেও দিনহাটার বিজেপি বিধায়ক তথা কোচবিহার জেলার সাংসদ নিশীথ প্রামাণিক ও নদীয়ার শান্তি পুরের বিধায়ক তথা সাংসদ জগন্নাথ সরকার নেন নি। পরে তারা বিধায়ক পদ থেকে পদত্যাগ করেন। আরে কারনেই ফের আগামী ৩০ অক্টোবর উপ নির্বাচন ঘোষণা করেন নির্বাচন কমিশন। আর সেই দিনহাটা কেন্দ্রে এবার বিজেপির প্রার্থী হন অশোক মণ্ডল। তার সমর্থনে প্রচার করতে আসেন রাজ্যের প্রাক্তন সভাপতি দিলীপ ঘোষ ও বর্তমান রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। আজ সকালে কোচবিহার শহরের সুনীতি রোডের সামন থেকে দিলীপ ঘোষ ‘চা-চক্রে যোগ দেন। সেখানে জিটিএ নির্বাচন নিয়ে রাজ্য সরকারকে বিধলেন বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ।
গতকাল মুখ্যমন্ত্রী পাহাড়ের স্থায়ী সমাধানে রীতিমতো উদ্যোগী। এদিন কার্শিয়ঙের প্রশাসনিক বৈঠক থেকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “কোভিড পরিস্থিতি ঠিক হলে সংশোধিত ভোটার তালিকা চলে আসবে। এরপরেই জিটিএ-র ভোট হবে। ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত ভোটও করতে হবে। তবে তার জন্য আইন সংশোধনের প্রয়োজন। সেদিকেও নজর দিতে হবে। আমরা পাহাড়ে শান্তি চাই। অশান্তির পক্ষে আমরা নয়।”
জিটিএ নির্বাচন নিয়ে রাজ্য সরকারকে বিধঁলেন বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কি ঘুমিয়ে ছিলেন এতদিন ? অনেক দিন হয়ে গেছে জিটিএ নির্বাচন বাকি তখন কেন হয় নি? জিটিএ ব্যাপারটাই পুরো ফলস (ভুয়ো) হয়ে গেছে। পাহাড়ের লোকেদের যে আসা আকাঙ্ক্ষা ছিল জিটিএ নিয়ে, কিন্তু তা বাস্ত বায়িত হয়নি।’
তিনি আরও বলেন, পাহাড়ের লোকজনকে বোকা বানিয়ে এসেছেন এতদিন থেকে। পাহাড়ের লোকজন বুঝতে পেতে তাদের ওই জন্য হারিয়ে দিয়েছে। তাই এত দিন তাদের লোক সেখানে ছিল না, তাই জিটিএ করে দিয়ে তাদের করে খাওয়ার একটা রাস্তা তৈরি করে দিতেই এই জিটিএ ভোটের দরকার পরেছে। এত দিন তাহলে করেন নি কেন। মমতা ব্যানার্জি পাহাড়ের লোককে বোকা বানানোর চেষ্টা করছেন।
আজ সকালে কোচবিহার সাগরদিঘির চত্বরে প্রাতঃভ্রমণে বের হন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি দিলীপ ঘোষ। প্রাতঃভ্রমণ শেষে চা চক্রে যোগ দেন তিনি। কথা বলেন সাধারণ পথ চলতি মানুষদের সঙ্গে। এদিন তাঁর সঙ্গে ছিলেন দক্ষিণ বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক নিখিল রঞ্জন দে সহ বিজেপির অনান্য জেলা নেতৃত্ব।

Recent Posts

স্নান করতে নেমে বিপত্তি, ২৪ ঘন্টা পার হয়ে গেলেও তলিয়ে যাওয়া যুবকের মিলল না কোন সন্ধান!

অরূপ কুমার মাজী, জেএনএফ, সরডিহা : বন্ধুদের সাথে স্নান করতে নেমে কংসাবতী নদীর জলে তলিয়ে গেল এক যুবক। ঘটনাটি ঘটেছে…

3 months ago

শরীর সায় দিলে ‘দিদি’র সঙ্গে সাক্ষাৎ! অনুগামীদের ভিড়, বাড়ির কার্যালয়ে বসে কেঁদে ফেললেন অনুব্রত

দুই বছরেরও বেশি সময় পরে বীরভূমে ফিরলেন অনুব্রত মণ্ডল। প্রথমে আসানসোল সংশোধনাগারে এবং তার পর প্রায় দেড় বছর দিল্লিতে তিহাড়…

3 months ago

‘সঞ্জয় লীলার কোনও নীতি আদর্শ নেই!’ পরিচালকের বিরুদ্ধে কেন ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন করিনা?

করিনার সৌন্দর্যে প্রথম থেকেই মুগ্ধ ছিলেন পরিচালক। ‘হম দিল দে চুকে সনম’ ছবির জন্য তাঁর প্রথম পছন্দ ছিলেন করিনাই। কিন্তু…

3 months ago

মিছিল করে মিছিলের উপর নিষেধাজ্ঞার প্রতিবাদ স্কুল পড়ুয়াদের! শোকজ় নোটিস পেয়ে ক্ষোভ একাধিক জেলায়

আরজি কর-কাণ্ডের প্রতিবাদ মিছিলে কচিকাঁচা পড়ুয়ারা পা মেলিয়েছে কেন? এই প্রশ্ন তুলে রাজ্যের বেশ কয়েকটি স্কুলকে শোকজ় নোটিস পাঠিয়েছে শিক্ষা…

4 months ago

বালি মজুত করার অভিযোগ পেয়ে শুকজোড়া এলাকায় ভূমি অধিকারীকের হানা!

জেএনএফ, চুবকা : অবৈধভাবে বালি মজুত করার অভিযোগ পেয়ে ঝাড়গ্রাম ব্লকের শুকজোড়া এলাকায় মানিকপাড়া বিট হাউসের পুলিশকে সাথে নিয়ে হানা…

5 months ago