অরূপ কুমার মাজী, জেএনএফ, ঝাড়গ্রাম : বুধবার ঝাড়গ্রাম জেলা জুড়ে রামনবমীর উৎসব মহাসমারোহে পালন করল নানা সংগঠন। বিভিন্ন জায়গায় পূজা অর্চনা ৱ্যালির মাধ্যমে এই দিনটি পালন করা হয় । এই বছর অন্যান্য বছরের তুলনায় ঝাড়গ্রাম জেলা জুড়ে ব্যতিক্রমী চিত্র দেখা গেল। অন্যান্য বছর প্রশাসনের তরফ থেকে, বা অন্য কোন মারফত রামনবমীর র্যালিতে বাধা দেওয়া হতো, র্যালির অনুমতি চাইতে গেলেও নানা কারণ দেখিও সেই রেলির অনুমতি পেত না সংগঠন। কিন্তু এই বছর নির্বিঘ্নে ঝাড়গ্রাম জেলা জুড়ে পালিত হলো রামনবমীর উৎসব। এদিন ঝাড়গ্রাম জেলা শ্রী রামনবমী উৎসব কমিটির পক্ষ থেকে ঝাড়গ্রাম জেলার সাবিত্রী মন্দির থেকে ক্যারিয়া ভবন পর্যন্ত একটি বাইক রেলি হয়ে থাকে, এছাড়াও চুবকা অঞ্চলের বল্লা থেকে ভিরিংপুর পর্যন্ত চুবকা অঞ্চল শ্রীরাম নবমী কমিটির পক্ষ থেকেও র্যালি করা হয়। জেলার সর্বত্রই এই বাইক র্যালির চিত্র দেখা যায়। ভোট বড় বালাই তাই হয়তো রামনবমী তে কিছুটা হলেও শাসকদলের সুর নরম হয়েছে এমনটাই মনে করছে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি। অন্যান্য বছর শাসক দলের তরফ থেকে রামনবমীর দিন কোন সরকারি ছুটি থাকত না বা কোন রামনবমীর দিন মিছিল মিটিং এর কোন অনুমতি দেওয়া হতো না প্রশাসনের তরফ থেকে কিন্তু এই বছর ভোটের ঠিক মুখে কিছুদিন আগেই রাজ্য সরকারের তরফ থেকে রামনবমীর দিন ছুটি ঘোষণা করা হয় এবং জেলার বিভিন্ন জায়গাতে বিভিন্ন সংগঠন রামনবমিরা ৱ্যালির জন্য প্রশাসনের কাছ থেকে অনুমতি চাইতে গেলেও কিছুটা হলেও শর্তসাপেক্ষে অনুমতি দিয়েছে প্রশাসন। এবারে প্রশাসনের অনুমতি এবং সরকারের রামনবমীর দিন ছুটি ঘোষণা করায় অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলি মনে করছে যে ভোটের মুখে কিছুটা হলেও রাজ্য সরকার তার সুর নরম করে এই ছুটি ঘোষণা করেছে। বিভিন্ন সময় দেখা গেছে, জয় শ্রীরাম ধ্বনিতে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী থেকে শুরু করে তৃণমূলের বিভিন্ন নেতা নেত্রীরা ক্ষুব্ধ হয়েছেন কিন্তু হঠাৎ করে এই বছর রামনবমীর দিন ছুটি ঘোষণা এবং প্রশাসনের তরফ থেকে বিভিন্ন সংগঠনকে রামনবমীর র্যালী করার জন্য অনুমতি প্রদান এসবের পিছনে রাজ্যের অন্যান্য দলগুলি ভোটের অংকের হিসাব করছেন। ঝাড়গ্রাম জেলা সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক প্রদীপ সরকার বলেন ” রাজ্যে এবং কেন্দ্রে যে দুটি দল ক্ষমতায় রয়েছে তারা প্রত্যেকেই ধর্মকে ব্যবহার করে রাজনীতি করতে চাইছে। তাই এই বছর ভোটের প্রাক্কালে এই ছুটি ঘোষণা করেছে রাজ্য সরকার “। হিন্দু জাগরণ মঞ্চের ঝাড়গ্রাম জেলা সংযোগক বাপ্পা বসাক বলেন ” এরা যে সরকার হিন্দু বিরোধী কিন্তু বর্তমানে ভোট রয়েছে, তাই ভোটের মুখে হিন্দু ভোট টানার জন্যই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্যের সরকার কিন্তু মানুষ বুঝে গেছে আগামী দিনে মানুষ সঠিক রায় দিয়ে দেবে “। অপরদিকে এই বিষয় নিয়ে তৃণমূলের জেলা সহ-সভাপতি প্রসূন ষড়ঙ্গীর সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তিনি ফোন ধরেননি।
অরূপ কুমার মাজী, জেএনএফ, সরডিহা : বন্ধুদের সাথে স্নান করতে নেমে কংসাবতী নদীর জলে তলিয়ে গেল এক যুবক। ঘটনাটি ঘটেছে…
দুই বছরেরও বেশি সময় পরে বীরভূমে ফিরলেন অনুব্রত মণ্ডল। প্রথমে আসানসোল সংশোধনাগারে এবং তার পর প্রায় দেড় বছর দিল্লিতে তিহাড়…
করিনার সৌন্দর্যে প্রথম থেকেই মুগ্ধ ছিলেন পরিচালক। ‘হম দিল দে চুকে সনম’ ছবির জন্য তাঁর প্রথম পছন্দ ছিলেন করিনাই। কিন্তু…
আরজি কর-কাণ্ডের প্রতিবাদ মিছিলে কচিকাঁচা পড়ুয়ারা পা মেলিয়েছে কেন? এই প্রশ্ন তুলে রাজ্যের বেশ কয়েকটি স্কুলকে শোকজ় নোটিস পাঠিয়েছে শিক্ষা…
জেএনএফ, চুবকা : অবৈধভাবে বালি মজুত করার অভিযোগ পেয়ে ঝাড়গ্রাম ব্লকের শুকজোড়া এলাকায় মানিকপাড়া বিট হাউসের পুলিশকে সাথে নিয়ে হানা…