শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগ তুলে দলের বিধায়ক ঘনিষ্ঠ জেলা পরিষদের এক কর্মাধ্যক্ষকে বহিষ্কার করল কোচবিহার জেলা তৃণমূল কংগ্রেস। দিনহাটার সিতাই এলাকার ওই তৃণমূল কংগ্রেস নেতার নাম নূর আলম হোসেন। তিনি সিতাই বিধানাসভার তৃণমূল বিধায়ক জগদীশ বসুনিয়ার ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত। আজ কোচবিহারে তৃণমূল কংগ্রেস জেলা সভাপতি গিরীন্দ্রনাথ বর্মণ ও চেয়ারম্যান উদয়ন গুহ সাংবাদিক সম্মেলন করে ওই বহিষ্কারের কথা ঘোষণা করেন।
এদিন ওই বহিষ্কারের সিধান্ত ঘোষণার সময় গিরীন্দ্রনাথ বর্মণ বলেন, “রাজ্য ও জেলা নেতৃত্বের নির্দেশ অমান্য করে বেশ কিছু গ্রাম পঞ্চায়েতে যে অনাস্থা নিয়ে আসার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল। দলীয় নেতৃত্বের হস্তক্ষেপে তা বর্তমানে সিতাই বিধানসভার দিনহাটা ১ নম্বর ব্লকের মধ্যে সীমাবদ্ধ হয়েছে। সেখানে প্রথমে গীতালদহ ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতে অনাস্থা এনে প্রধান বদল করার পরেই প্রধানের স্বামী তাঁর ছেলেকে নিয়ে রেল লাইনে ঝাঁপিয়ে আত্মহত্যা করেন। এরপর ওকরাবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতে দল যে পঞ্চায়েত সদস্যদের বহিষ্কার করেছে, তাঁদের নিয়েই প্রধান বদল করা হয়েছে। এবার গীতালদহ ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতেও দলীয় নির্দেশ অমান্য করে অনাস্থা নিয়ে আসা হয়েছে। এই অনাস্থার পিছনে দলের জেলা পরিষদ সদস্য নূর আলম হোসেনের হাত রয়েছে। তাই তাঁকে বহিষ্কারের সিধান্ত নেওয়া হয়েছে।” দিনহাটার বিধায়ক তথা তৃণমূল কংগ্রেসের কোচবিহার জেলা কমিটির চেয়ারম্যান উদয়ন গুহ বলেন, “এর আগেও একবার নূর আলম হোসেনকে বহিষ্কার করা হয়েছিল। তারপর নিজেকে শুধরে নেওয়ার জন্য ফের কোন পদ না রাখলেও দলীয় কাজ করার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। গ্রাম পঞ্চায়েত গুলোতে অনাস্থা নিয়ে আসা বন্ধ করতে যে বৈঠক হয়েছিল, সেখানেও নূর আলম হোসেন ছিলেন। দলীয় সিধান্তের কথা শুনেছেন। কিন্তু দলীয় নির্দেশ অনুযায়ী তিনি চলছিলেন না। তাই দলের শৃঙ্খলার কথা মাথায় রেখে তাঁকে বহিষ্কার করা হয়েছে।”
সিতাইয়ের বিধায়ক জগদীশ বর্মা বসুনিয়ার ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত নূর আলম হোসেন। তিনি কোচবিহার জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ পদেও রয়েছেন। দিনহাটা ১ নম্বর ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি নূর আলম হোসেন এর আগে এক মহিলার আনা অভিযোগের ভিত্তিতে দল থেকে বহিষ্কার হয়েছিলেন। কিন্তু একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে তিনি ফের সাংগঠনিক কাজে সক্রিয় হয়ে ওঠেন। জগদীশ বর্মা বসুনিয়ার হয়ে ভোটের ময়দানেও ঝাঁপিয়ে পড়েন। সিতাই বিধানসভায় জয় আসার পরেই বেশ কিছু গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান, পঞ্চায়েত সদস্য ও নেতৃত্বের বিরুদ্ধে বিধানসভা ভোটে গোপনে বিজেপির হয়ে কাজ করার অভিযোগ তুলে গ্রাম পঞ্চায়েতের ক্ষমতা থেকে তাঁদের সরিয়ে দেওয়ার জন্য তৎপর হতে দেখা যায়। বেশ কিছু গ্রাম পঞ্চায়েতে অনাস্থাও নিয়ে আসা হয়। এনিয়ে দলের অভ্যন্তরে গোষ্ঠী কোন্দল মারাত্মক আকার নেয়। সদস্য সমাপ্ত দিনহাটার উপনির্বাচনের আগে এনিয়ে তৃণমূলের কোচবিহার জেলা নেতৃত্ব চুপচাপ ছিলেন। এবার ভোট পেরিয়ে যাওয়ার পরেও এখনও যারা দলীয় নির্দেশ অমান্য করে গ্রাম পঞ্চায়েত গুলোতে আনাস্থা আনায় সক্রিয় হয়ে রয়েছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে তৎপর হয়েছে তৃণমূল জেলা নেতৃত্ব। আর সেই কারণেই নূর আলম হোসেনকে বহিষ্কার করা হল বলে মনে করা হচ্ছে।
অরূপ কুমার মাজী, জেএনএফ, সরডিহা : বন্ধুদের সাথে স্নান করতে নেমে কংসাবতী নদীর জলে তলিয়ে গেল এক যুবক। ঘটনাটি ঘটেছে…
দুই বছরেরও বেশি সময় পরে বীরভূমে ফিরলেন অনুব্রত মণ্ডল। প্রথমে আসানসোল সংশোধনাগারে এবং তার পর প্রায় দেড় বছর দিল্লিতে তিহাড়…
করিনার সৌন্দর্যে প্রথম থেকেই মুগ্ধ ছিলেন পরিচালক। ‘হম দিল দে চুকে সনম’ ছবির জন্য তাঁর প্রথম পছন্দ ছিলেন করিনাই। কিন্তু…
আরজি কর-কাণ্ডের প্রতিবাদ মিছিলে কচিকাঁচা পড়ুয়ারা পা মেলিয়েছে কেন? এই প্রশ্ন তুলে রাজ্যের বেশ কয়েকটি স্কুলকে শোকজ় নোটিস পাঠিয়েছে শিক্ষা…
জেএনএফ, চুবকা : অবৈধভাবে বালি মজুত করার অভিযোগ পেয়ে ঝাড়গ্রাম ব্লকের শুকজোড়া এলাকায় মানিকপাড়া বিট হাউসের পুলিশকে সাথে নিয়ে হানা…