নির্বিঘ্নে ভোট করাতে দিনহাটার সাধারণ ভোটারদের সাথে কথা বললেন কোচবিহার জেলা শাসক পবন কাদিয়ান ও পুলিশ সুপার সুমিত কুমার। এদিন জেলা শাসক ও পুলিশ সুপারের নেতৃত্বে দিনহাটার আমবাড়ি থেকে নিগমনগর পর্যন্ত রুট মার্চ করে পুলিশ ও কেন্দ্রীয় বাহিনী। ওই সময় জেলা শাসক ও পুলিশ সুপারকে গ্রামের সাধারণ মানুষদের সাথে কথা বলতে দেখা যায়। তাঁদের বুথ কোথায় রয়েছে? ভোট নিয়ে কোন রকম সমস্যা রয়েছে কিনা? তা নিয়ে কথা বলতেও শোনা গিয়েছে।
মূলত রাজনৈতিক ভাবে দীর্ঘ সময় থেকে উত্তপ্ত দিনহাটা। প্রায় প্রত্যেক নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দিনহাটায় রাজনৈতিক সংঘর্ষের ঘটনা ব্যাপক ভাবে হতে দেখা যায়। সংঘর্ষে মৃত্যুর ঘটনা পর্যন্ত ঘটে। গুলি বোমা ছোঁড়ার অভিযোগ ওঠে, দোকানপাট বাড়িঘর পর্যন্ত ভাঙচুর হয় বলে অভিযোগ। একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে ও পরে বেশ কিছু গণ্ডগোলের ঘটনা দিনহাটায় ঘটতে দেখা গিয়েছে। এবার উপ নির্বাচনেও দিনহাটা বিধানসভা কেন্দ্রে বিভিন্ন জায়গায় প্রচারে গিয়ে তাঁদের দলীয় প্রার্থী, জনপ্রতিনিধি ও নেতৃত্বের বাধার মুখে পড়তে হচ্ছে বলে বিজেপির পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে।
সেই কারণেই নির্বাচন কমিশন দিনহাটা বিধানসভার উপ নির্বাচন নিয়ে বাড়তি নজরদারি চালিয়ে যাচ্ছে। ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় ২৭ কোম্পানি থেকে বাড়িয়ে ৯২ কোম্পানি করা হয়েছে। প্রত্যেক বুথে সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানো হচ্ছে। শুধু তাই বিজেপির অভিযোগ, তাঁদের কর্মী ভোটাররা যাতে ভোট দিতে বুথ কেন্দ্রে না যায় তার জন্য রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে বাড়ি বাড়ি গিয়ে হুমকি দেওয়া হচ্ছে। এই অবস্থায় ভোটাররা যাতে বুথে যেতে ভয় না পান, তাঁদের সমস্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা যাতে করা হয়, নির্বাচন কমিশনের কাছে সেই দাবিও করেছেন বিজেপি নেতৃত্ব। আর সেই কারণেই জেলা শাসক পবন কাদিয়ান ও পুলিশ সুপার সুমিত কুমার নিজে রুট মার্চের নেতৃত্ব দেওয়ার পাশাপাশি গ্রামের ভোটারদের সাথে কথা বলে সকলে যাতে বুথে গিয়ে নিজের ভোটটা দিতে পারেন, তার উপড়ে জোর দিচ্ছেন বলে মনে করা হচ্ছে।
জেলা শাসক বলেন, “আমরা গ্রামের ভোটারদের সাথে কথা বললাম। এর আগের নির্বাচন গুলোতে সবাই যেমন শান্তিপূর্ণ ভাবে ভোট দিতে গিয়েছিলেন। এবারও যাতে শান্তিপূর্ণ ভাবে ভোট দিতে বুথে যান, তার জন্য আবেদন জানানো হল। সংবাদ মাধ্যমের মাধ্যেও সকলে যেন বুথে এসে নিজের ভোট নিজে দেন, তার জন্য আবেদন জানাচ্ছি। এছাড়াও কয়েকটি বুথ পরিদর্শন করা হল। সেগুলো ঠিকঠাক রয়েছে কিনা, সেসব নিয়ে খোঁজখবর নেওয়া হল। নির্বাচনে কমিশনের কোভিড নিয়ে যে গাইড লাইন রয়েছে, তা সবটাই যাতে মেনে চলা হয়, তার দিকেও খেয়াল রাখা হবে।”
জেলা শাসক ও পুলিশ সহ প্রশাসনের উচ্চ পদস্থ আধিকারিকরা গ্রামে গিয়ে ভোটারদের সাথে কথা বলায় উৎসাহিত সাধারণ মানুষও। এক ভোটারের কথায়, “প্রত্যেক বার আমরা শান্তিপূর্ণ ভাবে বুথে গিয়ে যেভাবে ভোট দিয়েছি। এবার উপনির্বাচনেও যাতে একই ভাবে ভোট দিতে যাই, তার জন্য আবেদন জানালেন। প্রশাসনের উচ্চ পদস্থ আধিকারিকদের এভাবে গ্রামের মানুষদের সাথে কথা বলতে দেখে আমরা উৎসাহিত।
অরূপ কুমার মাজী, জেএনএফ, সরডিহা : বন্ধুদের সাথে স্নান করতে নেমে কংসাবতী নদীর জলে তলিয়ে গেল এক যুবক। ঘটনাটি ঘটেছে…
দুই বছরেরও বেশি সময় পরে বীরভূমে ফিরলেন অনুব্রত মণ্ডল। প্রথমে আসানসোল সংশোধনাগারে এবং তার পর প্রায় দেড় বছর দিল্লিতে তিহাড়…
করিনার সৌন্দর্যে প্রথম থেকেই মুগ্ধ ছিলেন পরিচালক। ‘হম দিল দে চুকে সনম’ ছবির জন্য তাঁর প্রথম পছন্দ ছিলেন করিনাই। কিন্তু…
আরজি কর-কাণ্ডের প্রতিবাদ মিছিলে কচিকাঁচা পড়ুয়ারা পা মেলিয়েছে কেন? এই প্রশ্ন তুলে রাজ্যের বেশ কয়েকটি স্কুলকে শোকজ় নোটিস পাঠিয়েছে শিক্ষা…
জেএনএফ, চুবকা : অবৈধভাবে বালি মজুত করার অভিযোগ পেয়ে ঝাড়গ্রাম ব্লকের শুকজোড়া এলাকায় মানিকপাড়া বিট হাউসের পুলিশকে সাথে নিয়ে হানা…