জেএনএফ ওয়েব ডেস্ক : গুরুতর ভাবে আক্রান্ত হলেন কোচবিহার জেলা তৃণমূল মহিলা কংগ্রেসের সভানেত্রী শুচিস্মিতা দত্ত শর্মা। আজ কোচবিহার কোতোয়ালি থানার পানিগ্রাম ঘুঘুমারি এলাকায় তিনি আক্রান্ত হন। এছাড়াও ওই ঘটনায় তৃণমূল কংগ্রেসের এক মহিলা কর্মী সহ বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। এরমধ্যে কোচবিহার জেলা তৃণমূল মহিলা কংগ্রেসের সভানেত্রী শুচিস্মিতা দত্ত শর্মা ও দলের মহিলা কর্মী পার্বতী চন্দ নামে এক মহিলাকে কোচবিহার এমজেএন মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এদিকে দলীয় নেত্রী আক্রান্ত হওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়তেই তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীরা বিভিন্ন জায়গায় রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে। ঘুঘুমারি বাজার, ধলুয়াবাড়ি, ভেটাগুড়ি সহ বেশ কয়েকজন জায়গায় রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখায় তৃণমূল কর্মীরা। এদিকে কোতোয়ালি থানার পুলিশ ওই ঘটনার খবর পেয়ে সেখানে ছুটে যায়। ওই এলাকা থেকে এখনও পর্যন্ত বেশ কয়েকজনকে আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
মাথায় ও ডান হাতে আঘাত নিয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে এসে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে কোচবিহার জেলা তৃণমূল মহিলা কংগ্রেসের সভানেত্রী শুচিস্মিতা দত্ত শর্মা বলেন, “গত লোকসভা নির্বাচনের পর থেকেই বিজেপি পানিগ্রাম ঘুঘুমারি এলাকায় সন্ত্রাস তৈরি করে রেখেছে বিজেপি। বিরোধী কোন রাজনৈতিক দলকে সেখানে কোন রকম রাজনৈতিক কর্মসূচী করতে দেওয়া হয় না। এবার সেখানে তৃণমূল কংগ্রেস ২১ জুলাইয়ের কর্মসূচী করায় গত রাত থেকেই বিজেপি ব্যাপক বোমাবাজি করে। বেশ কয়েকজন তৃণমূল কর্মীরা বাড়ি ভাঙচুর করে। এদিনও সেখানে জমায়েত করে তৃণমূল কর্মীদের উপড়ে হামলার পরিকল্পনা করে বিজেপি। খবর পেয়ে সেখানে ছুটে গেলে তাঁদের আক্রামনের মুখে আমাকেও পড়তে হয়েছে। আমি ছাড়াও আমাদের আরও এক মহিলা কর্মী সহ বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে। আমরা চাই পুলিশ এই ঘটনার সাথে যুক্ত দুষ্কৃতিদের গ্রেপ্তার করুক।”
অন্যদিকে বিজেপি বিধায়ক মিহির গোস্বামী বলেন, “নির্বাচনের পর থেকেই তৃণমূলের গুণ্ডারা সন্ত্রাস করছে। আমাদের কর্মীদের হত্যা পর্যন্ত করেছে। বহু কর্মীকে মারধোর করা হয়েছে। বাড়িঘর ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাঙচুর হয়েছে। পানিগ্রামেও একই ভাবে গত দুদিন থেকে আমাদের কর্মীদের উপড়ে হামলা চালিয়ে যাচ্ছে তৃণমূল। আমাদের কর্মীদের বাড়ি ভাঙচুর ও বোমা বাজিও করা হয়েছে। সেই খবর করতে সাংবাদিকরা ঘটনাস্থলে গেলে আমাদের এক কর্মী তাঁদের সাথে কথা বলছিল। ওই সময় তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা কর্মীরা গিয়ে তাঁকে ব্যাপক ভাবে মারধোর করে। তাঁদের নিজেদের মধ্যেও মারামারি হয়। অথচ পুলিশ গিয়ে আমাদের কর্মীদের সেখান থেকে তুলে নিয়ে এসেছে। ওই ধৃতদের মধ্যে কয়েকজন ছাত্র রয়েছে। যাদের আজ পরীক্ষা। পুলিশ সময় মত ছেড়ে না দিলে ওদের একটা বছর নষ্ট হয়ে যাবে।”
ভোট পরবর্তী সন্ত্রাস কোচবিহারে এখনও অব্যাহত। একদিকে বিজেপি যেমন তাঁদের কর্মীদের উপর তৃণমূলী সন্ত্রাসের অভিযোগ তুলছেন। অন্যদিকে তৃণমূল কংগ্রেসেরও একের পর এক নেতা বিজেপি আক্রমণের মুখে পরছেন বলে অভিযোগ। এর আগে দিনহাটায় তৃণমূল কংগ্রেসের প্রাক্তন বিধায়ক উদয়ন গুহের উপড়ে হামলার ঘটনা ঘটে। সেই ঘটনায় উদয়ন গুহের হাত ভেঙ্গে যায়। এবার আক্রান্ত হলেন তৃণমূলের মহিলা সংগঠনের জেলা সভা নেত্রী। রাজনৈতিক এই হিংসা বন্ধে প্রশাসনের কি ভূমিকা হয়, এখন সেটাই দেখার।
অরূপ কুমার মাজী, জেএনএফ, সরডিহা : বন্ধুদের সাথে স্নান করতে নেমে কংসাবতী নদীর জলে তলিয়ে গেল এক যুবক। ঘটনাটি ঘটেছে…
দুই বছরেরও বেশি সময় পরে বীরভূমে ফিরলেন অনুব্রত মণ্ডল। প্রথমে আসানসোল সংশোধনাগারে এবং তার পর প্রায় দেড় বছর দিল্লিতে তিহাড়…
করিনার সৌন্দর্যে প্রথম থেকেই মুগ্ধ ছিলেন পরিচালক। ‘হম দিল দে চুকে সনম’ ছবির জন্য তাঁর প্রথম পছন্দ ছিলেন করিনাই। কিন্তু…
আরজি কর-কাণ্ডের প্রতিবাদ মিছিলে কচিকাঁচা পড়ুয়ারা পা মেলিয়েছে কেন? এই প্রশ্ন তুলে রাজ্যের বেশ কয়েকটি স্কুলকে শোকজ় নোটিস পাঠিয়েছে শিক্ষা…
জেএনএফ, চুবকা : অবৈধভাবে বালি মজুত করার অভিযোগ পেয়ে ঝাড়গ্রাম ব্লকের শুকজোড়া এলাকায় মানিকপাড়া বিট হাউসের পুলিশকে সাথে নিয়ে হানা…