ঝাড়গ্রাম নিউজ ফ্ল্যাশ ডেক্স :- পশ্চিমবঙ্গ থেকে বিদেশে সব্জি রপ্তানি আরও বাড়ুক- চাইছে রাজ্য সরকার। নবান্নে এব্যাপারে ইতিমধ্যে উচ্চপর্যায়ের বৈঠক হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কৃষি উপদেষ্টা প্রদীপ মজুমদার কৃষি বিপণন দপ্তরের সচিব রাজেশ সিনহা সহ দপ্তরের পদস্থ আধিকারিকরা বৈঠকে ছিলেন। সব্জি রপ্তানি তিন গুণ বৃদ্ধি করা যে সরকারের লক্ষ্য, সেটা ওই বৈঠকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। কৃষি বিপণন দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, আগের তুলনায় সব্জি রপ্তানি অনেক বেড়েছে। একদিনে ৭০-৮০ কোটি টাকার সব্জি রপ্তানিও হচ্ছে। এরাজ্যে উৎপাদিত পটল, ঝিঙে, লাউ, কাঁচলঙ্কা, বরবটি থেকে শুরু করে কচু পর্যন্ত বিদেশে যাচ্ছে। কিন্ত যে পরিমাণ সব্জি বিদেশে রপ্তানি করা যেত, প্রয়োজনীয় পরিকাঠামোর অভাবে তা করা সম্ভব হচ্ছে না বলে অভিযোগ উঠেছে। নবান্নের বৈঠকে এই প্রসঙ্গগুলি উঠেছিল। রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হয়। যদিও কয়েক মাস কেটে যাওয়ার পরও পরিস্থিতির বিশেষ পরিবর্তন হয়নি। বিদেশে সব্জি রপ্তানি প্রক্রিয়ার সঙ্গে জড়িতদের মতে, কলকাতা থেকে সরাসরি বিদেশে যাওয়ার বিমানের সংখ্যা কম হওয়া এক্ষেত্রে বড় বাধা। বিদেশের বাজার ধরার ক্ষেত্রে পশ্চিমবঙ্গের প্রতিদ্বন্দ্বী হল বাংলাদেশ। দুই জায়গা থেকে একই ধরনের সব্জি বিদেশে রপ্তানি হয়। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা থেকে বিদেশের অনেক বেশি গন্তব্যে যাওয়ার বিমান রয়েছে। বিদেশগামী বিমানের সংখ্যাও অনেক বেশি। ঢাকা থেকে বিমানে সব্জি পাঠানোর খরচও তুলনামূলকভাবে কম। স্বাভাবিকভাবে বাংলাদেশের সব্জি কম দামে বিদেশের বাজার ধরতে পারছে। কলকাতা থেকে সরাসরি বিদেশে যাওয়ার বিমান খুব কম। সিঙ্গাপুর, দুবাই, দোহা, ব্যাঙ্কক প্রভৃতি যেসব জায়গায় যাওয়ার সরাসরি বিমান আছে, বেশিরভাগ সব্জি সেখানেই যায়। সরাসরি বিমান না থাকায় ইউরোপে সব্জি পাঠানোর সুযোগ কম। খুব কম পরিমাণ সব্জি বিমান পরিবর্তন করে ইউরোপে পাঠানো হচ্ছে।