ঝাড়গ্রাম নিউজ ফ্ল্যাশ ডেক্স:- অবশেষে চুঁচুড়ার বালিকা বাণীমন্দির স্কুলে মিড-ডে মিলের মেনু বদল। স্কুলে পৌঁছল ২৫০টি ডিম ও রান্নার জন্য প্রয়োজনীয় মশলা। স্থানীয় কাউন্সিলর তথা স্কুল পরিচালন সমিতির চেয়ারম্যান গৌরীকান্ত মুখোপাধ্যায় ব্যক্তিগত উদ্যোগেই আজ ডিম ও মশলা পৌঁছে দেন স্কুলে। তারপরই ফের নতুন করে রান্না বসানো হয়।মিড-ডে মিলে দিনের পর দিন ধরে পড়ুয়াদের দেওয়া হচ্ছিল নুনভাত-ফেনাভাত। চুঁচুড়ার বালিকা বাণীমন্দির স্কুলের সেই সামনে আসতেই চাঞ্চল্য ছড়ায়। মিড-ডে মিল কাণ্ডে শোরগোল পড়ে যায় রাজ্যে। দুর্নীতির খবর পেয়ে মঙ্গলবার সটান স্কুলে এসে হাজির হন স্থানীয় সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়। হুঁশিয়ারি দেন, “ছাত্রীদের মুখের খাবার যারা কেড়ে নিয়েছে, তাদের রেয়াত করা হবে না।” এদিকে, তারপর আজও স্কুলবোর্ডে মিড-ডে মিলের মেনু হিসেবে লেখা হয়েছিল, ‘ফেনাভাত-নুনভাত’।এরপরই ব্যক্তিগত উদ্যোগে ডিম-মশলা কিনে নিয়ে স্কুলে পৌঁছন চেয়ারম্যান গৌরীকান্ত মুখোপাধ্যায়। মিড-ডে মিলে ডিম-ভাত রান্নার জন্য বলেন তিনি। যদিও, পড়ুয়াদের খাওয়ার সময় হয়ে গিয়েছে, এখন রান্না করতে গেলে দেরি হয়ে যাবে, এই যুক্তি দেখিয়ে চেয়ারম্যানের সঙ্গে বাগবিতণ্ডায় জড়ান শিক্ষিকারা। চেয়ারম্যানকে ঘিরে বিক্ষোভও দেখান শিক্ষিকারা। মুদি দোকান থেকে দরকারে ধারেই কেন রান্না সামগ্রী কেনা হয়নি? শিক্ষিকাদের উদ্দেশে পাল্টা তোপ দাগেন চেয়ারম্যানও।শেষমেশ মিড-ডে মিলের মেনু বদল হয়। পড়ুয়াদের দেওয়ার ডন্য সেদ্ধ বসানো হয় ডিম। এদিকে, চেয়ারম্যানের ব্যক্তিগত উদ্যোগে আজকের মতো সমস্যা মিটলেও, আগামিকাল কী হবে? উঠছে সেই প্রশ্ন। এ প্রশ্নের উত্তরে স্কুল পরিচালন সমিতির চেয়ারম্যান গৌরীকান্ত মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন, নির্দিষ্ট মুদি দোকান থেকে ধারে জিনিস কিনে এনে মিড-ডে মিল পরিচালনা করবেন শিক্ষিকাদের কমিটি। মাস শেষে দোকানের বিল মেটানো হবে।